বন্দর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ভাষন ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ মার্চ সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা প্রাঙ্গনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টায় বন্দর উপজেলা অডিটরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর ৭ র্মাচ ভাষন ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা বি.এম. কুদরত-এ-খুদা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ন দিন আজ। আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরন করছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে। যার চেতনায় আজ আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান তৎসময়ে ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে ১৯ মিনিটের বক্তব্য রেখেছেন।
বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষনের মাধ্যমে বাঙ্গালী জাতিকে মুক্তির জন্য মেসেজ দিয়েছে। ওই সময় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্বালাময়ি মেসেজ শুনে পূর্ব বাংলার সকল কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, দিনজুর ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ রক্ষার জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেছিল।
তিনি আরো বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনকে স্তব্দ করে দেওয়ার চেষ্টা করেও পারেনি। এখানে অনেক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা রয়েছে। আমি আমার শিক্ষকদের বলব আপনারা আমাদের ছেলে মেয়েদের বেশী বেশী করে ইতিহাস পড়াবেন। আমাদের সন্তানদের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে।
বন্দর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মবকর্তা আবু জাফরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় গুরুত্বপূর্ন বক্তব্য রাখেন বন্দর থানা অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা, বন্দর উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালিমা হোসেন শান্তা, বন্দর থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল লতিফ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ প্রমুখ। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সোহাগ হোসেনসহ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক/ শিক্ষিকাবৃন্দ।