করোনার টিকা নিতে এসে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থেকে অধৈর্য হয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের হল রুমে।
“২৬ ফেব্রুয়ারীর পর করোনার টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ রাখা হবে” ১৫ ফেব্রুয়ারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের এমন বক্তব্যে মঙ্গলবার সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কার্যালয়ে ব্যাপক সংখ্যক লোকজনের আগমন ঘটে।
এতে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে অধৈর্য হয়ে হুরোহুরি শুরু হয়। কার আগে কে টিকা দিবে। এ নিয়ে লাইন ভেঙ্গে নারী পুরুষ একাকার হয়ে যায়। এসময় পুলিশ ও উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তারা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
দুপুর ২টায় এনিয়ে ফুঁসে উঠে টিকা নিতে আসা লোকজন উপজেলা পরিষদের হল রুমে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। চেয়ার, টেবিল, কাচের দরজা জানালা ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। তখন তাৎক্ষনিক টিকা দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার অনিক বিশ্বাস বলেন, “২৬ ফেব্রুয়ারীর পর করোনার টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ রাখা হবে” এমন খবরে মঙ্গলবার সকাল থেকে লোক সংখ্যা বাড়তে থাকে।
এক পর্যায়ে আশঙ্কাজনক হারে নারী পুরুষের ভীড় হয়। এতে অনেকেই কোলে শিশু সন্তানও নিয়ে এসেছে। দুপুর ১২টায় অনেকেই ধৈর্য হারা হয়ে কার আগে কে টিকা নিবে লাইন ভেঙ্গে হুরোহুরিতে জড়িয়ে পড়ে।
এতে অনেকেই ফুঁসে উঠে হল রুমে টিকার একটি বুথে হামলা চালায়। এসময় টিকা দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। তখন হল রুমের দরজা জানালায় ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়।
ওইসময় পুলিশ ও র্যাবকে খবর দিলে তারা দ্রুত এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেছে। আগামীকাল টিকা দিতে বুথের সংখ্যা ও লোক সংখ্যা বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে সার্বিক নিরাপত্তা আরো বাড়ানো হবে।