নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বুধবার,

২৩ অক্টোবর ২০২৪

অপরিকল্পিত ভাবে সরকারি খাল ভরাট 

বন্দরে ৫০ একর ফসলি জমির পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে

প্রকাশিত:২৩:৪৪, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

বন্দরে ৫০ একর ফসলি জমির পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে

অপরিকল্পিত ভাবে বন্দরে সরকারি সিমানা খাল ভরাট হওয়ার কারনে প্রায় ৫০ একর ফসলি জমি পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পরেছে। এমন অভিযোগ তোলেছে ভূক্তভোগি কৃষকগন। তারা আরো জানান, ফসলি জমিতে বর্ষা মৌসুমে পানি জমে থাকার কারনে সবজিসহ বোরো ধানের আবাধ করতে ব্যাপক সমস্যার সম্মক্ষিন  হচ্ছে সাধারন কৃষকরা।   


সাধারন কৃষকরা এর জন্য দায়ি করছে এক শ্রেণী অসাধু জমি ব্যবসায়ীদের। সমাজের অসাধু ব্যক্তিরা গ্রামের সহজ সরল ও নিরিহ মানুষদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে অল্প দামে  ফসলি জমি অবাধে ক্রয় করছে। পরে তারা ওই সকল জমিতে রাতে আধারে ড্রেজারের মাধ্যমে  ভরাট করে বিভিন্ন এলাকার জনসাধারনের কাছে অবাধে বিক্রি করে চলছে।

 

এতে করে একর পর এক ফসলি জমি হারিয়ে যাচ্ছে ১নং মাধবপাশা বিল থেকে। ফসলি জমিতে অপরিকল্পিত ভাবে ভরাট হয়ে যাওয়ার কারনে এই বিলের এক মাত্র খালটিও ফসলি জমিতে বিলিন হয়ে গেছে। কেই দেখে মনে করবে না এটি কখনো খাল ছিল। স্থানীয় প্রশাসন খাল খননের কোন উদ্যোগ গ্রহন না করায় প্রায় ৫’শতাধিক কৃষক নানা অসুবিধার মধ্যে রয়েছে।

 

এ ব্যাপারে কৃষক আরিফুর জানান, এখানকার জমিজমা ভরাট হয়ে যাওয়ার কারনে এই সিমানা খালটিও সাথে সাথে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এখানকার কৃষকরা না অসুবিধার মুখে রেয়েছে। এখানে বৃষ্টির পানি জমিতে জমে থাকার কারনে ফসল ফলাতে পারছে না কৃষকরা।

 

খালটি বিলিন হয়ে যাওয়ার কারনে সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে পেরেছে বহু কৃষক। এ দূর অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভূক্তভোগি কৃষকগন।
 

সম্পর্কিত বিষয়: