রূপগঞ্জে মাত্র ১২ বছর বয়সী শিশু এখন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিবহনের বাস চালক। ফলে ঝুঁকিতে যাত্রীরা। এই পরিবহনটি যাত্রী নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গাউছিয়া টু সায়েদাবাদ রোর্ডে চলাচল করে।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকালে উপজেলার ভূলতা-গাউছিয়া এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিবহনটির চালকের আসনে দেখা যায় ১২ বছর বয়সী সাগর নামে এক শিশুকে গাড়ি চালাতে।
এসময় শিশুটির সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত এক বছর হেলপারি করে আসছে সে। ১২বছর বয়সী চালক সাগর বলেন, আমি সারা জীবন কি গাড়ির বডি বাইরামু? ড্রাইভার তো হতেই হবে। তাই আমি মাঝে মধ্যে ড্রাইভার না থাকলে গাড়ি চালাই।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এই উপজেলায় শিশুরা শিল্প কারখানাসহ বাস-লেগুনার হেলপার হিসেবে মহাসড়কে কাজ করছেন। চালকরা কম বেতন হওয়ায় হেলপার হিসেবে বেঁচে নেন শিশুদেরকে।
আর শিশুদের এই কাজের নেপথ্যে থাকে পরিবারের অভাব-অনটন, করোনাকালীন স্কুল বন্ধ থাকা, লেখাপাড়ায় অনীহাসহ বিভিন্ন সমস্যা। এই শিশুরাই মাঝে মধ্যে গাড়িতে চালক না থাকলে হয়ে যায় চালক।
এছাড়া হেলপার শিশুরা কিছু দিন যেতে না যেতেই চালকের আসন দখল করে হয়ে যান চালক।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই চালাতে শুরু করেন বিভিন্ন যানবাহন।
এমনকি অনেক শিশু বাসের মতো বড় বাহন চালাচ্ছে, যা এই শিশুদের পাশাপাশি যাত্রীদেরও ঝুঁকির কারণ হতে পারে। ঝুঁকি নিয়ে এসব যানে চলাচল করছেন যাত্রীরা।
ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। প্রশাসনের যথাযথ নজরদারির অভাবে দিনকে দিন শিশুশ্রম বেড়েই চলেছে। এদিকে বাংলাদেশে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ হলেও সড়ক পরিবহনে এর ব্যবহার বৃদ্ধির প্রবণতাকে উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করেছেন বিশ্লেষকরা।
এ বিষয়ে ভূলতা হাইওয়ে পুলিশের টিআই সালাউদ্দিন বলেন, শিশুশ্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আর প্রাপ্ত বয়স ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স হয় না।
গাড়ি চালাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগে, লাইসেন্স ছাড়া চালকের আসনে বসা অপরাধ। কেউ যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া চালকের আসনে বসে এবং গাড়ি চালাই তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।