করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে সরকারের দেয়া ১৯ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের ১৭ দিনের মাথায় নদী পারাপারে ফতুল্লা খেয়াঘাট নিয়ে টনক নড়লো ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদেরভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপনের।
লকডাউনের শেষ ভাগে সোমবার লক ডাউনের দোহাই দিয়ে ফতুল্লা খেয়া ঘাটে নৌকা ও ট্রলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ দিয়ে খেয়াঘাটে একটি ব্যানার সাটিয়ে দেয়।
এতে করে গত দু দিন ধরে ফতুল্লা খেয়াঘাট দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে।এতে করে হাজার হাজার যাত্রী নদী পারাপারে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
তবে ঘাট ইজারাদার পক্ষের দাবী, স্থানীয় একটি মহল টোল আদায়ে তাদের নানা কৌশলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
জানা যায়, আগামী ৩৩৫ দিনের জন্য ৫৫ লাখ টাকা দিয়ে ফতুল্লা লঞ্চ ঘাট ও খেয়া ঘাটের ইজারা নেয় ঢাকার শ্যামপুরের রিপন। ৩১ জুলাই পূর্ববর্তী ইজারাদার থেকে দ্বায়িত্ব বুজে নেয় তারা।
কিন্তু দ্বায়িত্ব বুজে নেয়ার পর থেকে একটি মহল কোন না কোন ভাবে বর্তমান ইজারাদারদের টোল আদায়ে এবং ঘাট পরিচালনায় নানা কৌশলে তাদেরকে বাধা প্রধান করে আসছিলো। শুরুর দিকে বিষয়টি থানা পর্যন্তও গড়িয়েছিলো।
ঘাট ইজারাদার রিপন জানায়, আমরা বৈধভবে ফতুল্লা লঞ্চঘাট ও খেয়াঘাট ইজারা নিয়েছি, কিন্তু স্থানীয় একটি মহল নানা ভাবে আমাদের টোল আদায়ে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।
তবে আমরা কাউকে ভয় পেয়ে পিছু হটবো না, আমরা সুষ্ঠু ভাবে ঘাট পরিচালনা করবো। এরপর যদি আমাদের কাজে বাঁধা দেয়া হয় তা হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন কে একাধিক বার ফোন করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।