জলাবদ্ধতার কারনে তলিয়ে গেছে বুড়ির দোকান, সস্তাপুর এলাকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কগুলো দেখে মনে হয় এগুলো সড়ক না ডোবা। এদিকে এই জলাবদ্ধতা নিয়ে দুচিন্তায় এলাকাবাসী। এলাকাবাসির দাবী জনপ্রতিনিধি বা ডিএনডির আওতাধীন ভেকু দিয়ে খাল নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করা হলে এই সড়ক গুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো না।
স্থানীয়দের অভিযোগ এই ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধিরা থাকা স্বর্থেও পানিতে তলিয়ে থাকা সড়ক গুলো নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। এমনকি রাস্তা গুলো উন্নয়নে কারো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
তবে বিভিন্ন সভায় চার আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, ফতুল্লার রাস্তা ড্রেন উন্নয়নে বাজেট পাশ করা হয়েছে। আশাকরি এসব সমস্যা গুলো অচিরেই সমাধান হবে।
এলাকাবাসির মতে সড়কে জমে থাকা পানি নিস্কাষনের জন্য পরিকল্পিত খাল নিষ্কাষন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এই সড়কে একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। যার কারনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয় জনসাধারণের।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, এমপি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যদি নিচু রাস্তা গুলো মেরামতের জন্য একটু হাত বাড়াতো তাহলে মানুষের এই কষ্ট অনেক আগেই লাগব হতো। কিন্তু কেন তারা উন্নয়নের জন্য এগিয়ে আসছেনা এটা এখন দেখার বিষয়।
সরজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, ইসদাইর বুড়ির দোকান ও সস্তাপুর মসজিদ রোডের সড়কটি হাটু পানির নিচে তলিয়ে আছে।
স্থানীয়রা জানায়, জলাবদ্ধতার কারনে বৃষ্টির পানি খালের পানির সাথে একাকার হয়ে দূর্গন্ধ ময়লা যুক্ত বিষাক্ত পানি দিয়ে চলতে গিয়ে নানান জটিল রোগে ভোগছে। অনেকের খোস পাঁচড়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।
এবিষয়ে ফতুল্লা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্বপন বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনডির কাজ চলমান রয়েছে এছাড়াও রাস্তা গুলো সংস্কারের জন্য তদবির চলছে। আশাকরি নিচু রাস্তা গুলো উচু করা হলে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।