নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

২২ নভেম্বর ২০২৪

লকডাউনেও রূপগঞ্জে ফুচকা-চটপটির দোকানে উপচেপড়া ভীড়

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০০:৪৬, ৩ আগস্ট ২০২১

লকডাউনেও রূপগঞ্জে ফুচকা-চটপটির দোকানে উপচেপড়া ভীড়

করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সারাদেশে ঘোষিত কঠোর লকডাউনের মধ্যেও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জমে উঠেছে ফুচকা-চটপটির দোকান। দোকানগুলোতে মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্য-বিধি। 


হাঁকডাক দিয়ে দেদারছে বসিয়ে বিক্রি হচ্ছে ফুচকা-চটপটি। প্রশাসনের যথাযথ নজরদারি না থাকায় লকডাউনের মধ্যেও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফুচকা-চটপটির দোকানগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভীড় দেখা যায়। 


জানা গেছে, করোনার ব্যাপক বিস্তাররোধে সরকার ১৪দিনের লকডাউন দিলেও তা শিল্পনগরী খ্যাত রূপগঞ্জে বেশি ঢিলেঢালা অবস্থায় চলছে। শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ায় মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। 


খোলা হচ্ছে দোকানপাট, খাবার হোটেলগুলোতে চলছে বসিয়ে খাবার বিক্রি। আর ফুটপাতে পাওয়া যাচ্ছে আখের রস, সরবত, ঝাল মুড়ি, পিঠা, ফুচকা-চটপটি, হালিমসহ চায়ের দোকান। স্বাস্থ্য বিধি না মেনে চলছে এসব। 


সরেজমিনে উপজেলার গোলাকান্দাইল বাস স্ট্যান্ড এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউনে খোলা হয়েছে দোকানপাট, খাবার হোটেলগুলোতে চলছে বসিয়ে খাবার বিক্রি। মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখে দোকানীরা দোকান বসিয়ে দেদারছে হাঁকডাকে বিক্রি করছে আখের রস, সরবত, ঝাল মুড়ি, পিঠা, ফুচকা-চটপটি, হালিম। 


কিছু মানুষের মুখে মাস্ক থাকলেও অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক। এসময় এক চটপটি দোকানীকে প্রশ্ন করলে এই লকডাউনে বসিয়ে কেন বিক্রি করছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, লকডাউন কি শুধু খাবার দোকানেই? রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ অবাধে চলাচল করতাছে তা দেখেন না? 


চটপটি খাচ্ছে এমন এক ক্রেতার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকদিন পর ফুচকা-চটপটির দোকান খুলেছে। তাই ভাবলাম খেয়ে যাই। পুলিশও কিছুই বলছে না। আর দুই দিন পর থেকেই তো লকডাউন শেষই হয়ে যাবে। তখন আর এতো লুকোচুরি করতে হবে না। 


মাস্ক বিহীন এক পথচারীকে জিজ্ঞাস করলে আপনার মাস্ক কোথায়? তিনি জবাব দেন, ভাই শুধু মাস্কের মধ্যে আইন। দেখেন কারো মুখেই মাস্ক নেই অথচ চায়ের দোকানে একসাথে বসে কিভাবে আড্ডা দিচ্ছে। চায়ের দোকানদারের মুখেও তো মাস্ক নেই। তারে জিজ্ঞাস করেন। 


এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ্ নুসরাত জাহান বলেন, কঠোর লকডাউনে শুধুমাত্র শিল্প-কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। আর সব নিয়ম-কানুন স্থির থাকবে। আমরা মানুষকে সচেতন করতে এবং লকডাউন বাস্তবায়ন করতে প্রতিদিনই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। 


কিন্তু অভিযান পরিচালনা করে চলে আসলেই আবার আগের মতো অসচেতনভাবে চলাফেরা করছে মানুষ। মানুষ যদি নিজে নিজে সচেতন না হয় আমরা তো শত চেষ্টা করেও মানুষকে সচেতন করতে পারবো না।