ফতুল্লার ইসদাইরে যাত্রীবেশে অটো রিক্সা (মিশুক) চালক রাজা মিয়া (৪০)কে হত্যার পর ছিনিয়ে নেয়া মিশুকসহ রাসেল (২৮) নামক একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত রাসেল নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার কাদিরগা গ্রামের মোঃ হান্নানের পুত্র।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাতে প্রথমে জেলা পরিষদের সামনে থেকে রাসেল কে গ্রেপ্তার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে ফতুল্লার কুতুবপুরের লাকী বাজারস্থ মোঃ আলী হোসেনের গ্যারেজের সামনে থেকে পরিত্যাক্তবস্থায় ছিনিয়ে নেয়া ব্যাটারী চালিত মিশুক টি উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে মিশুক চালক কে হত্যা করে মিশুক ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত মামুন(৩০) ১৬৪ ধারায় বৃহস্পতিবার বিকেলে সিনিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট কাউছার আলমের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মামুন ছিনিয়ে নেয়া মিশুকটি রাসেলের নিকট গচ্ছিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছিলো।সেই সূত্র ধরেই পুলিশ রাসেল কে গ্রেফতার সহ ছিনিয়ে নেয়া মিশুকটি উদ্ধার করে।
জানা যায়,সোমবার(২৮জুন) দিবাগত ভোর রাতে ফতুল্লা থানার ইসদাইরস্থ পৌর স্টেডিয়ামের সামনে যাত্রীবেশে অজ্ঞাতনামা ৪ জন দুষ্কৃতিকারী নিহত মিশুক চালক রাজা মিয়াকে ভয়ভীতি দেখাইয়া নিহত চালকের সাথে থাকা মোবাইল, টাকা পয়সা ও মিশুক গাড়ীটি ছিনাইয়া নেওয়ার সময় ঘাতক চক্রের সাথে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে দূস্কৃতিকারীরা ধারালো ছোরা দ্বারা গলায় ও পিঠের নিচে কোমড়ের উপরে আঘাত করিয়া গুরুতর জখম করে হত্যা করে সাথে থাকা একটি বাটন মোবাইল ফোন ও ব্যাটারি চালিত একটি পুরাতন মিশুক ছিনাইয়া নিয়া যায় এবং দুষ্কৃতিকারীদের ব্যবহৃত একটি বাটবিহীন স্টিলের চাকু ঘটনাস্থলে ফেলাইয়া রাখিয়া যায়।
পরে মঙ্গলবার(২৯জুন) নিহতের বোন মোমেনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন।
নিহত অটোরিক্সা চালক রাজা মিয়া গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ির বিশ্রামগাছির মৃত মবেজ মিয়ার পুত্র ও মাসদাইরস্থ কাজী বাড়ীর গলির আবুল হাজীর বাড়ীতে ভাড়ায় বসবাস করে মোহাম্মদ আলীর গ্যারেজের মিশুক চালিয়ে জীবিকা পরিচালনা করে আসছিলো।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইমানুর জানায়,মিশুক চালক নিহতের ঘটনার
সাথে জড়িত মামুন কে বুধবার দিবাগত ভোররাতে মামুনকে তোলারাম চাষাড়া কলেজ রোড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে মামুন ১৬৪ ধারায় বৃহস্পতিবার বিকেলে সিনিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট কাউছার আলমের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।তিনি আরো জানান জবানবন্দিতে মামুন স্বীকার করে যে,বুধবার রাতে তিনি সহ আরো তিনজন হত্যাকান্ডে অংশ নেয়।এবং ছিনিয়ে নেয়া মিশুকটি রাসেলের নিকট গচ্ছিত রাখা হয়েছে।সেই সূত্র ধরে রাসেল কে গ্রেফতার হয়েছে এবং ছিনিয়ে নেয়া মিশুকটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন :ফতুল্লায় নারীর সঙ্গে শিক্ষকের নগ্ন ভিডিও ধারণ, ৫ লাখ টাকা দাবী, অতপর...