ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেছেন নাসিকের কাউন্সিলর ও যুবদল নেতা মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা আক্তার লুনা। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন। নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি এই জিডি করেন। জিডি নং-৯৬৯। যদিও ব্যবসায়ি সাঈদা আক্তারের জিডিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার আসামী কাউন্সিলর খোরশেদ দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছেন।
জিডিতে আফরোজা আক্তার লুনা উল্লেখ্য করেন মঙ্গলবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা হতে পৌনে ৪টা পর্যন্ত মাসদাইরের ৪২নং শেরেবাংলা সড়কস্থ তার বাসায় কে বা কারা রাতের অন্ধকারে প্রবেশ করে দ্বিতীয় তলার কলিং বেল বাজাতে থাকে। বাসার অভ্যন্তর হতে লুনা এবং তার পুত্র-কন্যা পরিচয় জানতে চাইলে কোন উত্তর পাওয়া যায় নাই। ফলে তিনিসহ তার পরিবারের অপর সদস্যরা তাদের বাসার ৩য় তলা হতে ২য় তলায় চলে আসে। তারপরেও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি পুনরায় ৩য় তলার দরজায় সজোরে আঘাত করতে থাকে। তারা তখন ডাক চিৎকার করে পরিচয় জানতে চাইলেও কোন প্রকার প্রতি উত্তর পাওয়া যায় নাই। এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে রাত পৌনে ৪টার দিকে লুনার কন্যা নাবিলা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানালে তৎক্ষনাৎ ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এবং পুরো বাড়ি তল্লাশী করে কিন্তু কাউকে পায়নি পুলিশ।
এছাড়া তিনি উল্লেখ্য করেন গত ৩-৪ দিন যাবৎ তাদের বাসার আশে পাশে একটি ড্রোন উড়তে দেখা যাচ্ছে। এতে তার ধারনা হচ্ছে অজ্ঞাত কোন ঘাতক বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ডিঙিয়ে বাসার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাচ্ছে।
তাছাড়া অজ্ঞানামা এক ব্যক্তি ০১৭০৯-৫৪৭৮২৪ নম্বর হতে তার স্বামী কাউন্সিলর খোরশেদ এর ওয়ার্ড সচিব আলী সাবাব টিপু এর ব্যবহৃত মোবাইল নং ০১৯১৪-২৯৫৬১২-এ ফোন করে তাকে এবং তার সন্তানদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করে। ফলে তিনি আশংকা করছেন ফোনে হুমকী দাতা চক্রের কোন ব্যক্তি রাতের আধারে বাদী এবং বাদীর সন্তানদের ক্ষতি সাধন করতে পারে।
মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশদের স্ত্রীর দায়ের করা সাধারন ডায়েরীর করার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, আফরোজা খন্দকার লুনা সাধারন ডায়েরী করেছেন।তা আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদােলতের অনুমুতিক্রমে সাধারন ডায়েরীর তদন্ত করা হবে বলে তিনি জানান।