বন্দরে গৃহবধূ গনধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী লম্পট শরিফুল ইসলাম ওরফে গুড্ডু (৪০)কে ১ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর ফের আদালতে প্রেরণ করা হয়। যার মামলা নং- ২০(৬)২১।
রিমান্ডপ্রাপ্ত লম্পট ধর্ষক শরিফুল ইসলাম ওরফে গুড্ডু বন্দর উপজেলার কুড়িপাড়া এলাকার আলতাফ ওরফে আলতু মিয়ার ছেলে ও মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদের ভাগ্নিা বলে জানা গেছে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মহসীন গনমাধ্যমকে জানান, মামলাটি তদন্তের জন্য গুড্ডুকে রিমান্ডে এনে নিবির ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তের স্বার্থে এ মুহুতে কিছু বলতে পারছিনা। এ মামলার বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মে সন্ধ্যা পোণে ৭ টার দিকে ভূক্তভোগী গৃহবধূ বন্দরের মদনপুর এলাকার বারাকা হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। হাসপাতালের গেইটের সামনে যাওয়ার পর একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস তার সামনে এসে দাঁড়ায়।
কিছু বুঝে উঠার আগেই গুড্ডুসহ বন্দরের কুড়িপাড়া নয়ামাটি এলাকার রুহুল আমিনের ভাড়াটিয়া ও মৃত তোতা মিয়ার ছেলে সোহরাব ওরফে পাগলা শুভ (৩৭) এবং একই এলাকার ছালাম মাস্টারের ছেলে ফিরোজ মিয়া (৩৬) তাকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে অপহরণ করে ঢাকার দিকে নিয়ে যায়। তারপর অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে দোতলা বাড়ির একটি কক্ষে ৫ দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে অজ্ঞাতনামা এক কাজের বুয়ার মাধ্যমে তিনি ছাড়া পেয়ে গত ৩০ মে বাড়ি ফিরে এসে স্বামীকে ঘটনাটি জানান।
এ ব্যাপারে ভ’ক্তভোগী গৃহবধূ বন্দর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই রাতে গনধর্ষন মামলার প্রধান আসামী লম্পট শরীফুল ইসলাম গুড্ডুকে গ্রেপ্তার করে।