
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়ায় সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে কয়েকটি পোশাক কারখানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৪৬ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা আরো ২শ’ থেকে ২শ’ ৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার সকালে আদমজী ইপিজেডের নিরাপত্তা পরিদর্শক মুনসুর হাওলাদার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আটককৃত ৪৫ জনকে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। রবিবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি বলেন, মামলায় ইপিজেডে অনধিকার প্রবেশ করে হামলা, ভাঙচুর ও নিরাপত্তা কর্মীদের মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক ৪৫ জনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদনও করা হবে। এ মামলায় এজাহারনামীয় আরেকজন পলাতক রয়েছে। এছাড়া এই মামলায় আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার বিকেলে কারখানা বন্ধ রেখে ‘মার্চ ফর গাজা’ মিছিলে যোগ না দেওয়ায় কয়েকশ’ লোক ইপিজেড এলাকায় ঢুকে পোশাক কারখানাগুলোতে হামলার ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় যৌথবাহিনী ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা ইপিক গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং কোং লিমিটেড, ইউনিক বিডি লিমিটেড, সিম্মা ইউনিট-২ এবং অনন্ত হুয়াজিং লিমিটেডে ভাঙচুর চালান।
অনন্ত হুয়াজিং লিমিটেড কারখানাটির প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে নিরাপত্তা রক্ষীকে মারধরও করেন। কারখানা বন্ধ না করলে কারখানা জ্বালিয়ে দেওয়ারও হুমকি দিয়ে কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করেন তারা। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী পরিস্থিতি শান্ত করে।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান রবিবার বলেন, ইপিজেডে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৪৫ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদের মধ্যে ৩৮ জনকে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসুদের আদালতে হাজির করা হলে শুনানী শেষে ৩৮ জনকেই জামিন দেয়া হয়েছে।
৪৫ জনের মধ্যে বাকী ৭ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদেরকে শিশু আদালতে হাজির করা হলে জামিন মঞ্জুর করা হয়।