
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যাকারী পতিত স্বৈরাচার সরকারের দোসর বন্দরের আওয়ামী সন্ত্রাসী খান মাসুদের একান্ত সহযোগী সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী মাহাবুব ও তার সন্ত্রাসী পুত্রের অনৈতিক কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। এমন কথা গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নয়ানগর এলাকার মৃত আব্দুল মোতালিব মিয়ার ছেলে মাদক ব্যবসায়ী মাহাবুব, তার ভাই বাবু, ছেলে রাহিম মিলে নয়ানগর, কল্যান্দি, জিওধরা, আদমপুরসহ কয়েকটি গ্রামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছে।
এদের বিরোদ্ধে বন্দর থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। পুলিশ এদের কর্মকান্ড জেনেও ধরছে না। এমনকি ৫ আগষ্টের পর এসব মাদক সন্ত্রাসীর শেল্টার দাতা সন্ত্রাসী খান মাসুদ বিদেশে পালিয়ে গেলেও বয়াল তবিয়তে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে এরা।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইয়াবা,ফেন্সিডিল বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছি হাজার হাজার টাকা। মাদক ব্যবসায়ী মাহাবুবের ছেলে রাহিমের রয়েছে একটি কিশোর গ্যাং বাহিনী। কেউ প্রতিবাদ করলেই সন্ত্রাসী রাহিম বাহিনী গোটা এলাকা অস্ত্র প্রদর্শন করে দাবড়িয়ে বেড়ায়। তাই কেউ তাদের বিরোদ্ধে আঙ্গুল তুলতে সাহস পায় না।
মাদক ব্যবসায়ী পিতা ও সন্ত্রাসী পুত্রের কারনে ওই এলাকার ব্যবসায়ীরাও আতংকে দিন কাটাচ্ছে। এলাকাগুলোতে এই সন্ত্রাসীদের কারনে অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে আইন শৃঙ্খলা চরম অবনতি ঘটছে। তাই এলাকাবাসী এদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছে।
আদমপুর এলাকার বিএনপি নেতা ফরিদ হোসেনের ঘনিষ্ট এক ব্যাক্তি জানান, গত ৫ আগষ্টের পূর্বে দেশে যখন স্বৈরাচার সরকারের বিরোদ্ধে ছাত্র জনতা আন্দোলন করছিল সেই সময় আওয়ামী সন্ত্রাসী খান মাসুদের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা ফরিদ হোসেনের বাড়িঘরে হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছিল মাহাবুব ও তার ছেলে মাহিনের সন্ত্রাসী বাহিনী।
এমনকি তারা বন্দর খেয়াঘাটে ছাত্রদের উপর হামলা করেছিল। এখন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও বহাল তবিয়তে মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে মাহাবুব বাহিনী।
সন্ত্রাসী খান মাসুদ বিদেশে বসে এদের নিয়ন্ত্রন করছে। স্বৈরাচারের দোসর মাহাবুব ও তার সন্ত্রাসী পুত্রকে দ্রুত গ্রেফতার করতে আইণ শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা কামনা করছি।