সিদ্ধিরগঞ্জে একটি টিন সেড বাড়িতে গ্যাসের লাইন লিকেজ হয়ে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ দুই পরিবারের ৮ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন- রিক্সাচালক হান্নান (৫০), তার স্ত্রী নুরজাহান (৩৫), মেয়ে জান্নাত (৪), মেয়ে সামিয়া (১১) ও ছেলে সাব্বির (১২)। এছাড়া আরেক পরিবারের পোশাক শ্রমিক সোহাগ (২৩), তার স্ত্রী রুপালি (২০) ও তাদের একমাত্র দেড় বছর বয়সী মেয়ে সুমাইয়া।
সোমবার (৩ মার্চ) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে ২ নং ঢাকেশ্বরীর শান্তিবাগ মধুগড় এলাকার মো. ইব্রাহীম খলিলের আমেনা ভিলায় এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পরপরই তাদেরকে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধদের মধ্যে হান্নানের শরীরের ৪৫ শতাংশ, শিশু সুমাইয়ার ৪৪ শতাংশ, রুপালির ৩৪ শতাংশ, সাব্বিরের ২৭ শতাংশ, নুরজাহান লাকির ২২ শতাংশ, সামিয়ার ৯ শতাংশ ও জান্নাতের তিন শতাংশ পুড়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘটনাস্থলের দুইটি রুমের প্রায় সবকিছুই পুড়ে গেছে এবং বিস্ফোরণে বাড়ির দেয়ালের কিছু অংশে ফাটল ধরেছে। ঘরের আসবাবপত্র লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা নুরুল হক জানান, আমাদের এলাকার অনেক জায়গায় গ্যাস লাইনে লিক আছে। তিতাস গ্যাসের অফিসে আবেদন জানিয়েও আমরা কোন প্রতিকার পাইনি। গত ২ বছর আগেও পাশের আরেকটি বাড়িতে এমন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও জানান, যে বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই বাড়ির নিচে দিয়ে যাওয়া ১ ইঞ্চি যে গ্যাসের পাইপটির কয়েক জায়গায় লিকেজ আছে। সেটা এলাকার সবাই জানে। বৃষ্টি হলে বাড়ির চারপাশ দিয়ে গ্যাসের বুদবুদ উঠে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান- দগ্ধ আটজনের মধ্যে ছয়জনেরই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন বলেন, আমরা পরীক্ষা করে দেখলাম যে বাড়িতে বিষ্ফোরণ হয়েছে ওই বাড়ির নিচে দিয়ে যাওয়া গ্যাসের লাইনে একটা পুরোনো লিকেজ লিকেজ আছে। এই লিকেজ থেকে এই ঘরগুলোতে একটা গ্যাস চেম্বার হয়ে আগুনের সংস্পর্শে এসে এ বিস্ফোরণ ঘটে।
