
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চালককে হত্যার পর নদীতে লাশ গুম করে অটো রিকশা ছিনতাই চক্রের সাত সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ, নারায়ণগঞ্জ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- লিয়ন (৩২), মো. বোরহান ওরফে ইমরান ওরফে সোহেল ও ওরফে পিচ্ছি (২১), মো. শাওন বেপারী (২২), মোসা. পারভীন বেগম (২২), শাহীন মোল্লা (৩০), মোহাম্মদ আলী (৫৫) ও মো. আল আমিন সর্দার (৩৮)।
এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ছিনতাইকৃত একটি অটোরিক্সা, হত্যাকান্ডে শিকার এক চালকের আইটেল মোবাইল ফোন, অজ্ঞান করার কাজে ব্যবহৃত চেতনা নাশক ঔষধ, একটি অটোরিক্সা বিক্রির নগদ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাঁচপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল মাবুদ। এরআগে গত ১৬ জানুয়ারি কাঁচপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইলো ঘাট সংলগ্ন বিশ্ব খাদ্য গুদামের পূর্ব পার্শ্বে শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে ভাসমান অবস্থায় একটি অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৫১) এর মরদেহ উদ্ধার করে। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে মরদেহটি পরিচয় সনাক্ত হওয়ার পর ভিকটিমের পরিবার গত ৫ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করে নিহতের পরিবার।
ওই মামলার সূত্র ধরে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যার সাথে জড়িত এবং অটোরিক্সা ছিনতাই চক্রের ওই সাত সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন, বিপিএম এর নেতৃত্বে কাঁচপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. আবদুল মাবুদসহ নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল হতে গঠিত স্পেশাল টিম এই হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন এবং ছিনতাইকৃত অটোরিক্সা উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তারের জন্য বিশেষ তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও বলেন, এ চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় সংঘবদ্ধভাবে অটোরিক্সা চালককে চেতনানাশক ঔষধ সেবন করিয়ে হত্যা করার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়াসহ অটোরিক্সা ছিনতায়ের সাথে সরাসরি জড়িত।