নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বুধবার,

১২ মার্চ ২০২৫

বন্দরে ফুলের গ্রাম সাবদী সেঁজেছে প্রকৃতির বর্ণিল সাঁজে

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:১৩:৫৮, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বন্দরে ফুলের গ্রাম সাবদী সেঁজেছে প্রকৃতির বর্ণিল সাঁজে

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস  ১৪ ফেব্রুয়ারি আরমাত্র ২ দিন বাকি। আর এই ভালোবাসা দিবসকে স্মরনীয় করে রাখতে নারায়নগঞ্জজেলার বন্দর উপজেলার ফুলের গ্রাম হিসেবে খ্যাত সাবদীসহ এর আশেপাশের গ্রাম গুলো সেঁজেছে প্রকৃতির বর্ণিল সাঁজে। বিকেল হলে ফুলের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে ফুল প্রেমিরা ছুটে আসে সাবদী এলাকায় ।

এ ব্যাপারে ফুলপ্রেমি সুমনা রহমান বৃষ্টি জানায়, ফুলকে ভালো বাসেনা এমন লোক পৃথিবীতে কম  আছে। ফুল হলো ভালোবাসার প্রতিক,ফুল হলো আস্থার প্রতিক ও ফুল হলো বন্ধুত্বের প্রতিক।ফুলকে ভালোবাসি বলে ফুলের অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য সব কিছু ফেলে রেখে ফুলের গ্রাম হিসেবে খ্যাত সাবদী গ্রামে ছুটে আসি।

এ ব্যাপারে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার জামান প্রধান জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারী মহান ভাষা দিবসকে সামনে রেখে ফুল চাষিরা রাত দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছ তাদরে কাঙ্খিত লক্ষ্যস্থান পুরনের জন্য।

তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে দেরি করে ফুলের চারা রোপন করা হয়েছে। এবার ফুল  চাষীরা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও মহান ভাষা দিবসে প্রায় ১০ লাখ টাকা ফুল বিক্রি র্টাগেট করে মাঠে নেমেছে।

বিভিন্ন তথ্য সূত্রে ও স্থানীয় এলাকাবাসী সাথে কথা বলে জানাগেছে, বন্দর উপজেলার সাবদী, হাজরাদী চাঁনপুর, মাধবপাশাসহ বিভিন্ন এলকার ফুল চাষীরা ফুল চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে।

এখানে প্রচুর পরিমান ফুল চাষের কারনে বন্দর উপজেলার সাবদী ও হাজরাদী চাঁনপুর গ্রামের পাশাপাশি এখন মাধবপাশা এলাকা ফুলের গ্রাম হিসেবে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেছে। কেননা ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে বিশাল ফুলের বাজারে ব্যাপক চাহিদা মেটাচ্ছে বন্দরে সাবদী ও মাধবপাশা এলাকার ফুল চাষীরা। 

তিনি আরো জানান, গত ৮ বছর ধরে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের মাধবপাশা এলাকায় দেড় বিঘা জমি নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল চাষ করে আসছি। এর মধ্যে জার বরা ফুল, গেন্ধা ফুল, চায়না ফুল, সূর্যমুখী অন্যতম। বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের মধ্যে জার বরা ফুলের  চাষ করে আমি এর সফলতা পেয়েছি। এই ফুলের চাহিদা ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে অনেক বেশী। 

ফুলবাগানের জন্য টাকা খরচ করেছি এই থেকে আমি অনেক উন্নতি করেছি। সরকারি ভাবে  একটু সহযোগিতা পেলে আমি আরো বেশী সফলতা লাভ করতে পারব বলে আশা প্রকাশ করছি। জারবরা ফুল চাষ করতে অনেক পরিশ্রম করার পাশাপাশি এখানে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। 

টাকার অভাবে এখানকার অনেক ফুলচাষীরা এ ফুলের চাষ করতে পারে না।  আমি আমার প্রতিবেশী ও এলাকাবাসীদের আহবান জানাচ্ছি অপনারা এভাবে বসে না থেকে ফল চাষে আগ্রহী হন। ইচ্ছে, শক্তি ও মনোবল ঠিক থাকলে আপনারাও আমার মত ফুল চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।

এ ব্যাপারে সেনপাড়া এলাকার সমাজ সেবক মাসুদ মিয়া জানান, বিকেল হলেই ফুল বাগান দেখার জন্য জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে  প্রচুর ফুল প্রেমিদের আগমন ঘটে এখানে। ফুল প্রেমিদের আগমন ও ফুল বাগানের সৌন্দর্য তখন একাকার হয়ে যায়।

কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান,  ফুল চাষ করে ইতিমধ্যে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে উল্লেখিত এলাকার ফুল চাষীরা । এখানকার মাটির উর্বরতা হওয়ার কাররেন এখানে প্রচুর পরিমান ফুল চাষ করা হয়। 

ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে ফুল বাজারের পাইকাররা এখন মাধবপাশা, সাবদী ও হাজরাদী চাঁনপুর এলাকায় ফুল নেওয়ার জন্য ভীড় জমাতে দেখা যাচ্ছে। সরকারি সহযোগিতা পেলে এখানকার সাধারন মানুষ ফুল চাষে ব্যাপক ভাবে আগ্রহী হবে।

সম্পর্কিত বিষয়: