
‘জুলাইয়ের প্রেরণা, দিতে হবে ঘোষণা!’ এই স্লোগানে সাতটি বিষয় ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জের সাধারণ জনগনের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যবৃন্দরা ।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল এগারটায় সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগর ও কদমতলী এলাকায় এ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির সহ মুখপাত্র আরেফিন মোহাম্মদ হিযবুল্লাহ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিদ্ধিরগঞ্জের ছাত্র সংগঠকবৃন্দ। তারা বিভিন্ন দোকানে, কাঁচা বাজারে ও পথচারীদের হাতে লিফলেট বিতরণ করেন।
এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির সহ মুখপাত্র আরেফিন মোহাম্মদ হিযবুল্লাহ বলেন, আমরা চাই এই দেশটা এমনভাবে যাতে আর নতুন করে কেউ আবার নতুন করে হাসিনা না হয়ে উঠতে পারে ।
জুলাই-আগষ্টে যারা আহত ও শহীদ হয়েছে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। ৭২ এর সংবিধান বাতিল করে এমন সংবিধান বানাতে হবে যে সংবিধানে মানুষের অধিকার থাকতে হবে এবং কোনো সরকার/পুলিশ মানুষের বুকে গুলি চালাতে পারবে না ।
সিদ্ধিরগঞ্জের ছাত্র সংগঠক মেহরাব হোসেন প্রভাত বলেন, আমরা আজ লিফলেট বিতরনের পাশাপাশি সকলের দাবি ও সমস্যাগুলো শুনেছি এবং আমরা সেসব সমস্যা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে শীঘ্রই সমাধান করার চেষ্টা করবো। যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়েছেন, তাঁদের স্বীকৃতি ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
জুলাই স্পিরিটকে ধারণ করে সকলের মাঝে সেই লক্ষ্য রেখেই এগিয়ে চলেছি আমরা। এসময় আমাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জের অন্যতম সংগঠক মোঃ ইমন আহমেদ, সিয়াম রেজা, তানজিম আহনেদ সানজান, মোজাহিদুল ইসলাম ফাহিম , তামিম আহমেদ, মোহাম্মদ রায়হান, হাসিবুল রিদুল, মোহাম্মদ সোহেল, তাফাজ্জুল হক, আদনান সামি, মেহেদী, শিহাব সহ সিদ্ধিরগঞ্জের আরও ছাত্র সংগঠকবৃন্দ ।
বিতরণ করা লিফলেটে উল্লেখ করা সাতটি দাবি হলো, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে আহতদের বিনা মূল্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুচিকিৎসা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করা; বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা; অভ্যুত্থানে আওয়ামী খুনি ও দোসরদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করা; ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা পরিষ্কার করা; ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল ভিত্তি সংবিধান বাতিল করে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা; নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের মধ্য দিয়ে নাগরিক পরিচয় প্রধান করে রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি রাখা এবং বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ করতে সব ধরনের সংস্কারের ওয়াদা দেওয়া।