নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় লামিয়া আক্তার ফিজি নামে এক গৃহবধুকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ করেছে নিহতের স্বজনরা।
তাদের দাবি গৃহবধু ফিজিকে তার স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মৃতদেহ জানালার গ্রীলের সাথে ঝুলিয়ে রেখে সকলে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ফতুল্লার লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকার মনিরুল ইসলাম মনুর বাড়ির দুতলার ফ্ল্যাট থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে পুলিশ। নিহত লামিয়া আক্তার ফিজি (২১) ফতুল্লার দেওভোগ বাশমুলী এলাকার মীর মোহাম্মদ আলীর মেয়ে।
পুলিশ এ ঘটনায় তোফাজ্জল নামের একজন কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের বড় ভাই আরাফাত জানান, গত করোনা কালীন সময় লামিয়া আক্তার ফিজিকে একই থানাধীন লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকার মনু মোল্লার ছেলে মুন্না মোল্লার সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেই।
বিয়ের সময় মুন্না তার প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে নিজেকে ব্যবসায়ী দাবী করেন। বিয়ের পর লামিয়া আক্তার ফিজি জানতে পারেন মুন্নার স্ত্রী আছে এবং সে বেকার কোন কর্ম নেই।
এরপর থেকে কারনে অকারনে ফিজির উপর শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতন শুরু করে মুন্না। যেমন তার স্বামী নির্যাতন করতো তেমন তার শাশুড়িও নির্যাতন করতেন। এ নির্যাতনের বিষয় স্থানীয় শালিশ থেকে থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়।
এরমধ্যে তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান হয় যার বয়স দুই বছর। শালিশ করে ফিজিকে স্বামীর ঘরে দিয়ে আসলে কয়েকদিন ভালো কাটে এরপর আবার নির্যাতন শুরু করে। শরীরের বিভিন্নস্থানে ক্ষত দাগ রয়েছে।
মানসম্মান ও সন্তানের কথা চিন্তা করে ফিজি তার স্বামীকে তালাক না দিয়ে দিনের পর দিন নির্যাতন সহ্য করেছে। শেষ পর্যন্ত বোনটাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে স্বপরিবারে পালিয়েছে। এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
ফতুল্লা মডেল থানার এসআই ইমানুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্টে মৃত্যুর কারন জানাযাবে।
নিহতের স্বামীসহ তার পরিবারের সকলেই আত্মগোপন করেছে। এ ঘটনায় তোফাজ্জল নামের একজন কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।