সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৪নং ওয়ার্ডে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন। ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী দোসরদের সকল অপরাধ সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয় হারুন।
বর্তমানে হারুনের শেল্টারে ওই এলাকায় মাদক, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, দখল বানিজ্যসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড চলছে অবাধে।
এদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন মামলায় সাধারণ মানুষকে জড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে হারুন এক আতংকের নাম। তার বিরুদ্ধে কেউ কোনো মুখ খুলতেও সাহস পাচ্ছেনা।
হারুন ও তার সহযোগীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার নিরিহ সাধারণ মানুষ ও ভুক্তভোগীরা।
জানাগেছে, ডাকাত সাহেব আলীকে দিয়ে এলাকায় ডাকাতি চুরি মাদক ব্যবসা করায়। সোহাগ ওরফে ফেনসি সোহাগ তাকে দিয়ে এলাকায় ফেনসিডিল ব্যবসা করায়। সাহেব আলী ও সোহাগ একাধীক মামলার আসামি।
এছাড়া মিলন ওরফে ভাংঙ্গাড়ি মিলনকে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী গাজীর মিলের মালামাল ও যন্ত্রাংশ লুট করায়। ওই লুটের মালামাল বিক্রি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় হারুন ও মিলন। এক সময়ের টোকাই মিলন এখন কোটিপতি।
অপরদিকে, আটি ওয়াবদাকলোনিতে রাতের বেলা এখন নিয়মিত বসে মাদকের হাট। হারুনের নেতৃত্ব ডাকাত সাহেব আলী ও সোহাগ এটি পরিচালনা করে। হারুন নিজেও মাদকাসক্ত।
নাম না বলার শর্তে এক মাদক বিক্রেতা বলেন, এমপি সাহেব কে ভাগ দিতে হবে বলে বেশি টাকা নেয় হারুন। এলাকার মানুষ তার এসব কাজে প্রতিবাদ করলে সাহেব আলী তার গ্রুপ পাঠিয়ে মানুষদের ভয়ভীতি দেখায়।
বিএনপির এক নেতা নাম না বলার শর্তে বলেন, হারুনের সাথে এখন আমরা রাজনীতি করিনা। তার সাথে রাজনীতি করে টোকই লোহা চোর মিলন, ডাকাত সাহেব আলী, মাদক বিক্রতারা। হামলা মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে হারুনের সহযোগী সাজ্জাদ ও শেখ সাদি।
নারী কেলেংকারীতেও পিছিয়ে নেই ওই গুনধর হারুন। নারী নিয়ে ফুতি করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার সহ এসব ঘটনার ছবিও রয়েছে সাধরণ মানুষের কাছে। এসব খারাপ কাজের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে ভাই ও স্বজনরা। ্্এরপর হারুনের নোংরা অপরাধ মানিষকাতার শিকরা হন তারা। আপন ভাতিজারাও তার হাত থেকে রেহাই পাননি।
স্থানীয়রা বলছেন. হারুন ও তার সহযোগীরা সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিনের নাম ভাঙ্গিয়ে আটি ওয়াবাদা কলোনী বিশাল অপরাধ সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। তার অপরাধ কর্মকান্ড নিয়ে একাধিকবার মৌখিক অভিযোগ দেয়া হলেও থেমে নেই হারুন।
তাদের দাবি হারুনকে এখনই না রুখলে বিএনপির প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে। তাছাড়া এলাকার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হতে থাকবে।
এবিষয়ে কথা বলতে বিএনপি নেতা হারুনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।