বন্দরে কিস্তির টাকা দিতে না পারায় এনজিও কর্মীদের টানাহেচড়া ও হেনস্থার শিকার হয়েছেন নাসিমা আক্তার (৪০) নামে এক নারী।
শুক্রবার দুপুরে ২৪ নং ওয়ার্ড বন্দরের চৌরাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে প্রতিবেশীদের কাছে ঋণ নিয়ে দুই হাজার টাকা তাৎক্ষণিক পরিশোধ করে এনজিও কর্মকর্তাদের রোষানল থেকে রক্ষা পান ওই নারী। নাসিমা আক্তার বন্দরের চৌরাপাড়া এলাকার ফুচকা বিক্রেতা নাসির হোসেনের স্ত্রী।
নাসিমা আক্তার জানান, তিনি ৮/৯ মাস আগে সিদীপ নামে একটি এনজিওর বন্দরের নবীগঞ্জ ব্রাঞ্চ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। এরই মধ্যে কয়েক কিস্তিতে ৪৪ হাজার পরিশোধ করেন। শুক্রবার সিদীপের ব্রাঞ্চ অফিসার ৮/১০ লোক নিয়ে কিস্তি তুলতে বাড়িতে আসেন।
এ সময় কিস্তির টাকা যোগাড় করতে না পেরে সিদীপ কর্মীদের হাতে পায়ে ধরে জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখে টাকা নেওয়ার অনুরোধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও টানা হেচড়া করে।
নাসিমা আক্তার বলেন, হেরা(ওরা) আওনের(আসার) পর আমি হেগ( তাদের) কইলাম বাজান আমি একটু অসুবিধার মধ্যে আছি। এই মাসে টেকা(টাকা) দিতে পারতামনা। চুরি করি দারি করি যেমতে (যেভাবে) পারি সামনের মাসের ৫ তারিখে দিমু।
হেরা আমার কতা হুনলনা (শুনলনা)। হেরা আমারে ধইরা নিবগা। জেলে দিব। পুলিশে দিব এই ডর দেহাইল। পরে ফোন কইরা আরো লোক আনে।
নাসিমার স্বামী নাসির হোসেন বলেন, শুক্রবার ওনারা ১০/১২ জন কিস্তির টাকা নিতে এসে আমাদের ওপর হামলা করে। কিস্তির অধিকাংশ টাকা পরিশোধের পও আমার স্ত্রীকে টেনে হিচড়ে ঘর থেকে বের করে ফেলে। তারা আমার ছেলেকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে।
এ ব্যাপারে ব্রাঞ্চ অফিসার ইউনুস আলী জানান, নাসিমা নামে ওই গ্রাহক ৫০ হাজার ঋণ নিয়ে প্রতি সপ্তাহে কিস্তি এক হাজার দুইশ’ ৫০ টাকা করে মোট ৪৪ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন।
বাকি ৬ হাজার টাকা পরিশোধে গড়িমসি করছেন। শুক্রবার কিস্তির টাকা নিতে এলে তিনি টাকা না দিয়ে খারাপ আচরণ করেন। তবে আমরা তাদের সাথে কোন অশালীণ আচরণ করি নাই।