আড়াইহাজার উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল কালাপাহাড়িয়া চারদিকে মেঘনা নদী দ্বারা বেষ্টিত। অবৈধ বালু খেকুদের কাছে এই মেঘনা নদী যেন সোনার খনি।
২০০১ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতাশীনরা কখনো ইজারার মাধ্যমে, কখনো অবৈধভাবে দিনে কিংবা রাতে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কিংবা প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে এই সোনার খনি খ্যাত বালু উত্তোলনের ব্যবসা তাদের এক প্রকার জীবনের লক্ষ্যই থাকে।
এই অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে কত রক্ত, কত লাশ, কত মায়ের বক খালি হয়েছে তার হিসাব বেমালুম। তারপরেও থামানো যাচ্ছে না অবৈধ বালু উত্তোলন মেঘনা নদী থেকে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সালাউদ্দিন চৌধুরী সালামত এর নেতৃত্বে প্রায় মাসখানেক যাবত অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে ক্ষমতা প্রয়োগ করে সাধারণ মানুষের রেকর্ডিয় জমি থেকে আইন প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলন করে চলছে।
ভয়ে অনেক ভুক্তভোগী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই প্রতিবেদককে জানান, আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মোল্লা সালাউদ্দিন চৌধুরীর ভাতিজি জামাইয়ের ভয়ে কেউ কথা বলে না।
এছাড়া আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ মানুষের প্রয়োজন না থাকলেও প্রকার জোড় করে তাদের জায়গা ভরাট করে দিচ্ছে পরবর্তীতে ইচ্ছামত টাকা আদায় করে। মূল হোতা সালাউদ্দিন চৌধুরী সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ওরা আমার নাম বলবে কেন? আমি এক্ষেত্রে জড়িত নই।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেন, আরো অভিযোগ পাওয়া গেছে এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন,আমরা সুনির্দিষ্ট সংবাদ পেয়ে সেখানে ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেটের টিম প্রেরণ করেছি কিন্তু খবর পেয়ে তারা ড্রেজার অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে তবে কিছু অবৈধ পাইপ জব্দ করেছি এবং সেগুলোকে নষ্ট করে দেয়া হয়েছে এরপরও যদি অবৈধ ড্রেজারের বসিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।