নারায়ণগঞ্জে গাড়ি চোর চক্রের মূল হোতাসহ ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের হেফাজত থেকে চোরাইকৃত তিনটি মোটরসাইকেল, দুটি সিএনজি ও একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-চক্রের মূল হোতা জালকুড়ি পশ্চিম পাড়ার মোহর মাস্টারের ছেলে আতাউর রহমান (৩৫), সোনারগাঁও থানার নুনের টেকের মৃত আসমত আলীর ছেলে সুমন মন্ডল (৪২), জালকুড়ি পশ্চিম পাড়ার মৃত. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ওয়াকি (২৫), গোদনাইল সৈয়দ পাড়ার মৃত. দুলাল ভূইয়ার ছেলে বাবু ভূইয়া ও জালকুড়ি দক্ষিন পাড়ার মো. ছানোয়ার আলীর ছেলে মোঃ রাজিব হোসেন (৩৬)। বুধবার রাতে (১৮ ডিসেম্বর) জেলার বিভিন্ন এলাকা অভিযান চালিয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকশ টিম গাড়িগুলো উদ্ধার ও তাদের গ্রেপ্তার করে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের প্রেস বিফ্রিংয়ে পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, গত কয়েদিন ধরে রাতের অন্ধকারে ড্রাইভারদের আক্রমন করে বিভিন্ন গাড়ী চুরির ঘটনা ঘটছে। তারই ধারাবাহিকতায় অভিযান চালিয়ে পেশাদার ৫ চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছে আরও চোরাইল মালামাল থাকতে পারে। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের কাছ থেকে সেই সকল মালামাল উদ্ধার করার চেষ্টা করা হবে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধে ৩ থেকে ৬টি মামলা রয়েছে।
তিনি বলেন, এই চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন এলাকা থেকে মটর সাইকেল, সিএনজি, মাইক্রোবাস সহ অটো রিক্সা, প্রাইভেটকার চুরি করে আসছিল।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ জানায়, বুধবার রাত ১২ টায় সাইনবোর্ডে পিবিআই অফিসের সামনে মনির মিয়ার গ্যারেজের পাশে চোরাই গাড়ি কেনাবেচা করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আতাউর, সুমন মন্ডল ও রাজিব হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোটর সাইকেল ও একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাত তিনটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি পশ্চিম পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওয়াফি ও বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেখানো মতে, ওয়াফির বাসার গলি থেকে একটি চোরাই নোয়া গাড়ী ও একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।