বন্দরে দাবিকৃত ৬ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে শুল্ক আদায় ও লেবার হ্যান্ডলিং পরিচালনাকারীকে কুপিয়ে জখমের মামলার ৪নং এজাহার ভূক্ত আসামী চাঁদাবাজ তুষার (২৫)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত চাঁদাবাজ তুষার বন্দর থানার নবীগঞ্জ শান্তিবাগ এলাকার তাইজুল ইসলামের ছেলে।
এ ব্যাপারে আহত শুল্ক আদায় ও লেবার হ্যান্ডলিং পরিচালনাকারী রাকিব হোসেন বাদী হয়ে গত শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) চাঁদাবাজ সফর আলী, জনি, আরমান, তুষার, হৃদয় ও রাকিবসহ আরো ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ৮(১২)২৪।
গ্রেপ্তারকৃতকে রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। এর আগে গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে বন্দর থানার নবীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী রাকিব হোসেনের ফুফাত ভাই মনির হোসেন নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর নিয়ন্ত্রাধীন সোনাকান্দা ঘাট হইতে কাঁচপুর ব্রীজের দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্বপাড় এলাকায় উঠানামাকৃত মালামালের শুল্ক আদায় ও লেবার হ্যান্ডলিং পয়েন্টের ২০২৪ইং হইতে ২০২৫ইং অর্থ বছরের ১৬-৭-২০২৪ হইতে
আগামী ৩০-৬-২৫ ইং তারিখ পর্যন্ত বৈধ ভাবে সরকারি ভাবে ইজারাপ্রাপ্ত হয়ে উল্লেখ এলাকায় আমি শুল্ক আদায় ও লেবার হ্যান্ডলিং পরিচালনা করে আসছি।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর হইতে বন্দর থানার রামনগর এলাকার করিম মুন্সি ছেলে চাঁদাবাজ সফর আলী ও একই থানার উত্তর লক্ষনখোলা এলাকার আমির হোসেন মিয়ার ছেলে জনি একই এলাকার আরমান, তুষার ও রাকিব একই এলাকার শবু মিয়ার ছেলে হৃদয়সহ অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জন চাঁদাবাজ বিভিন্ন সময়ে আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল।
এর ধারাবাহিকতা গত ১লা নভেম্বর বেলা ১২টায় বন্দর থানার ১নং ঢাকেরশ্বরী ক্রাউন সিমেন্ট সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদী তেলের ঘাট সংলগ্ন পাকা রাস্তার উপর উল্লেখিত চাঁদাবাজরা ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই সময় রাকিব হোসেন চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ওই সময় চাঁদাবাজরা ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যা উদ্দেশ্যে বেদম ভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে।
পরে স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে খানপুর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে পরিচালনাকারী রাকিব হোসেন শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ হয়ে পুনরায় প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম শুরু করলে গত ৪ নভেম্বর দুপুর ১টায় উল্লেখিত চাঁদাবাজরা ৬ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে গালাগালিসহ হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।