নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ঘেরাও করে পুলিশ কর্মকর্তা, বিএনপি নেতা ও হত্যাকারীদের বিচার দাবি

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:২০:২৫, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ঘেরাও করে পুলিশ কর্মকর্তা, বিএনপি নেতা ও হত্যাকারীদের বিচার দাবি

সিদ্ধিরগঞ্জে জমির বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত লিলি বেগম (৫০) মৃত্যুর ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ফটকের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।  

এসময়  নিহতের স্বজনরা দাবি করেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মাহাবুরের উপস্থিতিতে হামলাকারীরা তাদেরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করলেও পুলিশের সাহায্য চেয়েও পাননি তারা। উল্টো বিএনপি নেতা আইয়ুব আলী মুন্সির ইশারায় আমাদের মামলাও নেয়নি পুলিশ। আমরা ওই পুলিশ কর্মকর্তা, বিএনপি নেতা ও  হত্যাকারীদের বিচার চাই। 

এরপর তারা থানার ভিতরে গিয়ে প্রবেশ পথ ঘেরাও করে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ও বিএনপি নেতা ও হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহিন আলম আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে তারা শান্ত হয়ে ফিরে যান। 

এসময় ওসি শাহিন আলম বলেন, আমি আজ নতুন জয়েন করেছি আমি আপনাদেরকে আশ^স্ত করছি বিষয়টি আমি নিজে গিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব। এখানে সঠিক বিচার হবে, এর কোন ব্যত্যয় হবে না। 
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এরআগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। 

জানাগেছে, গত ১ ডিসেম্বর বাসা ভাড়া চাইতে গেলে আশরাফ মিয়া ও তার ছেলেদের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে সোমবার ২ ডিসেম্বর দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত লিলি বেগম (৫০) মারা যান। এই হামলায় আহত হয়েছে নিহতের স্বামী আশরাফ মিয়া (৫২) তার রুমান হাসান(২২), ইমামুল ইসলাম ইমু(২৫), মো: নাজেমুল ইসলাম(২৮) ও নাঈম হাসান(৩০)।

এ ঘটনায় ২ ডিসেম্বর মো: আশরাফ মিয়া (৫২) বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলো মোঃ মনির হোসেন (৩৫), চাঁন মিয়া (৬৫), জাহান (১৯), ওয়াদুদ (২৮), গনি মিয়া (৫০), নাজমুল (৩০)।

এদিকে বিক্ষোভে অংশ নেয়া নিহতের মেয়ে বলেন, আমার ভাই, আমার মা ও বাবা সকলকে আহত করা হয়েছে। এই শোকে আমরা মা স্টক করে মারা যান। ওরা কীভাবে পুলিশের সামনে এতগুলো মানুষকে মারল। পুলিশ ওদের তুলে এনে ছেড়ে দিয়েছে। তারা মামলা নেয়নি। তিনি বলে উনি বিএনপির নেতা, মামলা দেয়া যাবে না। তারা এখনও হুমকি দিচ্ছে আমার বাবাকে যেখানে পাবে মেরে ফেলবে। আমার বাবা, আমার ভাইয়েরা মায়ের জানাজায় যেতে পারেনি। আমি এর বিচার চাই।

নিহতের ছেলে রোমান জানান, আমরা সে বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার ভাইকে মারছে। আমি সেখানে ঠেকাতে গেলে আমাকে মারধর করে কুপিয়ে আহত করেছে। প্রশাসন সামনে ছিল। এসআই মাহাবুবের সামনে আমাদের মেরেছে। আমাদের পুলিশের গাড়িতে ওঠানোর সময়ও আমার বাবাকে কোপ দিয়েছে। আমাদের থানায় না নিয়ে চিকিৎসা না দিয়ে আমাদের সিদ্ধিরগঞ্জ পুলের সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে গেছে। 

তিনি আরও বলেন, রাতে আমার বাবা মামলা করতে আসলে তারা মামলা নেয়নি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মামুন বলেছে, তারা বিএনপি করে। ওরা মুন্সীর লোক। তারা বললে মামলা হবে, নয়ত হবে না। এর পরের দিন সকালে আমার মা মারা যায়।