নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বুধবার,

০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৫, নগদ টাকা ও মোটরসাইকেল লুট  

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:২০:৩৯, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৫, নগদ টাকা ও মোটরসাইকেল লুট  

বন্দরে বাড়ি রাস্তা সংক্রান্ত  বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় ৫ জন আহত হয়েছে। ওই সময় হামলাকারিরা আহতদের কাছ থেকে নগদ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ১টি মোটর সাইকেল লুট করে নিয়ে যায়। 

সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো আসাদুল্লাহ (৬৮) শাহ আলম (৪২) নূরে আলম (৪২) শাহিন (৩২) ও ইবাদুর (২৮)। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুত্বর আহত ৪ জনকে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণের নির্দেশ দেন। 

গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।

 এ ব্যাপারে আহতের বেয়াই আব্দুল আওয়াল মিয়া সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার রাতে বাদী হয়ে হামলাকারি আবুল, গোলজার, আমান উল্লাহ ও অলিউল্লাহসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী হারুন মিয়ার ক্রয়কৃত জায়গা উপর দিয়ে

একই এলাকার মৃত সোয়েদ আলী মিয়ার ভূমিদৎসু ৩ ছেলে গোলজার হোসেন, আমান উল্লাহ ও অলিউল্ল্যাহগং দীর্ঘ দিন ধরে  জোর পূর্বক রাস্তা নির্মানের পাঁয়তারা করে আসছিল। এ নিয়ে উভয়ের বিরোধ চলছিল। 

এর ধারাবাহিকতা গত সোমবার বিকেল ৩টায় উল্লেখিত এলাকায় প্রতিপক্ষ ভূমিদৎসু গোলজার, আমান উল্লাহ ও অলিউল্লাহ হুকুমে বন্দর থানার কেওঢালা এলাকার মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী আবুল ও শ্রীরামপুর এলাকার মৃত মনির হোসেন মিয়ার ২ ছেলে সোহাগ ও আনিছ একই এলাকার আমান উল্লাহ মিয়ার ছেলে দুলাল ও লাউসার এলাকার মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে কবির ও জাঙ্গাল এলাকার জাকারিয়া মিয়ার ছেলে বাবুসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন সন্ত্রাসী জোর পূর্বক প্রবাসী ক্রয়কৃত জায়গা  দখল করে রাস্তা নির্মানের চেষ্টা করে। 

এ ঘটনায় প্রবাসী হারুনের পিতা আসাদুল্লাহ (৬৮) ভূমিদৎসুদের বাধা প্রদান করলে ওই সময়  উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা বৃদ্ধা আসাদুল্লাহকে হত্যার উদ্দেশ্য গ্যাসের  পাইপ দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। 

ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গিয়ে শাহ আলম (৪২) নূরে আলম (৪২) শাহিন (৩২) ও ইবাদুর (২৮) রক্তাক্ত জখম করে  নগদ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ঢাকা মেট্রো হ ২৩- ৫৭৫২ নাম্বারের ডিসকভার মোটর সাইকেল ছিনিয়ে নেয়।