বন্দরে কেওঢালা এলাকায় রিয়াদের নিয়ন্ত্রণে প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাদক বিক্রি করলেও রাত গভীর হলে মহাসড়কে ছিনতাই কর্মকাণ্ড চালায় বলে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ।
স্থানীয়রা জানান, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বন্দর উপজেলা মদনপুর ইউপির পশ্চিম কেওঢালা এলাকার মৃত নুরুল হক ভুঁইয়ার ছেলে রিয়াদ ১০/১২ জন বখাটেদের নিয়ে নিজ এলাকায় গড়ে তুলে এক মাদক ও মহাসড়কে ছিনতাই সিন্ডিকেট।
রিয়াদের নিয়ন্ত্রণে কেওঢালা, বাগদোবাড়িয়া আশপাশের ৪/৫ গ্রামে হেঁটে হেঁটে প্রকাশ্যে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজা বিক্রি করে আসছে। মাদক বিক্রির নিরাপদ স্থান হিসাবে নিয়েছে স্থানীয় ইটভাটাগুলো।
ইটভাটার শ্রমিকদের কাছে ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি করতে বাঁধা দেয়ায় সম্প্রতি একজন শ্রমিককে তুলে নিয়ে নির্যাতন চালায় রিয়াদ তার সহযোগীরা।
পশ্চিম কেওঢালা এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, আওয়ামীলীগ সরকার পতনে ছালাম চেয়ারম্যান পালিয়ে যাওয়ার পর রিয়াদ একক নিয়ন্ত্রণে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক কারবারি। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাদক বেচাকেনা শেষ নয়।
রাত গভীর হলে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালা বেঙ্গল বিস্কুট ফ্যাক্টরি থেকে জাঙ্গাল এলাকা পর্যন্ত চালায় ছিনতাই সহ না অপরাধ কর্মকান্ড। পুলিশের নিস্ক্রিয় ভুমিকায় নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে এসব অপরাদ কর্মকান্ড।