ফতুল্লা ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জ্বলের অপকর্মের সংবাদ স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর এলাকায় পত্রিকা বিলি করতে গেলে সাইদুল (৩৫) নামে এক হকারকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে উজ্জ্বল।
শনিবার সকালে ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকায় সাইদুলকে মারধর করে অপপ্রচারের অভিযোগে পুলিশের হাতে তুলে দেয় উজ্জ্বল ও তার লোকজন। পরে ফতুল্লা থানার ওসি শরিফুল বিষয়টা শুনে সাইদুলকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
জানা যায় গত ৫ এ আগষ্টের পরে থেকেই তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তার নিজ একালায়, এমন সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে নারায়ণগঞ্জের বেশ কিছু স্থানীয় পত্রিকায়। সে সব পত্রিকাকে ম্যানেজ করে ফের বেপরোয়া সে।
৬নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন গার্মেন্টস সেক্টর গুলো দখল করা নিয়ে ধাওয়া খাওয়ারও অভিযোগও রয়েছে তার নামে। চাঁদা বাজি, দখলদারি তার নিত্যদিনের কাজ।
চাউর রয়েছে উজ্জ্বল নিজের দুর্নীতি গুলো যাতে প্রকাশ না পায়, সেই দিক বিবেচনা করেই স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের একটি সংগঠনের উপদেষ্টা মন্ডলির পদে কৌশলে আসিন হয়েছেন।
পুলিশ সাংবাদিক ম্যানেজের মাধ্যমে উজ্জ্বল দিনের পর দিন অপকর্মে বেপরোয়া হয়ে হিংস্র হয়ে উঠছে। তার বিষয়ে কেউ কথা বলতে গেলেই তাকে বাড়িতে ডুকে মারধোর করে তার ভাই সম্রাট এবং তার মাদকাসক্ত গং সেই ভয়ে মুখ খুলে না অনেকেই। যারা মুখ খুলে তারা নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে।
আওয়ামী লীগের ক্ষমতার সময় শামীম ওসমানের পরিবার যেমন সকল সদস্যই এক এক রাজনীতির অঙ্গ হয়ে সব দিকেই নিজের ঘাঁটি ঠিক রেখেছে, তেমন ভাবেই এই উজ্জ্বল সহ তার ভাইয়েরাও একই রুপ ধারন করছে।
তার ভাইদের মধ্যে কেউ রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর নামে কেউ আবার সাবেক এমপি আলহাজ্ব মো. গিয়াস উদ্দিনের নামে প্রভার বিস্তার করছে।
এদিকে উজ্জ্বল ও ভাইদের হাত থেকে মুক্তি চেয়ে ৬ নং ওয়ার্ডবাসী বিএনপির শীর্ষ নেতা ও আইনশৃংখলাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।