জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মমিনুল হক সরকার বলেছেন, বিগত স্বৈরাচার সরকার জাতির ওপরে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছিল। বিশেষ করে ইসলামী আন্দোলনের বিপক্ষেই ছিল তার অবস্থান।
হেফাজতের প্রোগ্রামে শত শত আলেম ওলামাকে রাতের অন্ধকারে হত্যা করে গুম করে ফেলা হয়েছে। এবং পরে ব্যঙ্গ করে বলা হয়েছে হুজুররা গায়ে রঙ মেখে শাপলা চত্বরে এসে শুয়েছিল। আমরা ধিক্কার জানাই এসব কর্মকাণ্ডের।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার খাদুন এলাকায় জামায়াতে পৌর কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তারাব পৌরসভা আমীর ডাঃ নাজমুল হোসাইনের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতে ইসলমী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী সাবেক আমীর মাওলানা মঈনুউদ্দিন আহমদ, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জাকির হোসাইন,মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, জেলা সহকারী সেক্রেটারি আবু সাঈদ মুন্না প্রমূখ।
এ সময় মমিনুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সাবেক স্বৈরাচারী সরকার পুলিশ ও ছাত্রলীগ যুবলীগকে লেলিয়ে দিয়ে দুই হাজারের অধিক ছাত্র জনতা কে হত্যা করা করেছে । এবং নিরপরাধ জামাত নেতৃবৃন্দদেরকে হত্যা করার জন্য যে ট্রাইবুনাল তারা গঠন করেছে। সেই স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদের বিচার এই ট্রাইব্যুনালেই হবে ইনশাল্লাহ।
স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু আল্লাহর দ্বীন এখনো এই দেশে বিজয়ী হয় নাই। ঐ পর্যন্ত আমাদের পৌঁছাতে হবে পৌঁছাতে হবে।
জামায়াতে ইসলমী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী সাবেক আমীর মাওলানা মঈনুউদ্দিন আহমদ বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহর আইন ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হলে সমাজে আর অন্যায় জুলুম থাকবেনা।
তিনি আরো বলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ আল কুরআনের আইন বাস্তবায়ন হলে সোনার মানুষ গুলোদের দিয়ে সোনার বাংলাদেশ তৈরি হবে।
ইসলামী ছাত্র শিবিরের রূপগঞ্জ থানার সাবেক সভাপতি আল আমিন খন্দকারের পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন- সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট ইসরাফিল হোসাইন, রূপগঞ্জ উপজেলা উত্তরের আমীর সাইফুল ইসলাম, দক্ষিণের আমীর মাওলানা ওমর ফারুক সহ অন্যন্য জামায়াতে নেতৃবৃন্দ