নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

২১ নভেম্বর ২০২৪

রূপগঞ্জে লভ্যাংশের ফাঁদে ফেলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ, মামলা

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৭:৫৮, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

রূপগঞ্জে লভ্যাংশের ফাঁদে ফেলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ, মামলা

বন্ধু এবং নিকট আত্মীয়ের কাছ থেকে ব্যবসায় অধিক মুনাফা দেয়ার কথা বলে কোটি টাকা নিয়ে লোক চক্ষুর আড়ালে আছে রূপগঞ্জের রূপসী এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল কাদির ভুঁইয়া রাজিব এবং চাঁদপুরের মো. মনির হোসেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মো. ফয়সাল সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাঞ্ছারামপুর আদালতে তিন জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালত তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিলে ১ নম্বর আসামি মো. মাহিরুল ইসলাম (৪০) কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

মাহিরুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আমবাগ গ্রামের মৃত মো. জহিরুল হকের ছেলে। তিনি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কারাগারে রয়েছেন। অপর আসামি আবদুল কাদির ভুঁইয়া রাজিব (৪০) রূপগঞ্জের রূপসী বাগবাড়ি এলাকার মৃত আবদুল মতিনের ছেলে ও মো. মনির হোসেন (৩৬) চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার সুচীপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে। 

রূপগঞ্জের বরপা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অটোমেটিভ মার্কেটিং সলুশনস বিডি নামক লুব্রিকেন্ট ব্যবসাটি আসামি মো. মাহিরুল ইসলাম (সিইউ) অপর পলাতক রাজিব ও মনির পরিচালনা করে। তারা তাদের ব্যবসায় বিনিয়োগ করলে সবাইকে টাকার অনুপাতে বিপুল পরিমাণে লভ্যাংশ দেয়ার প্রলোভন দেখায়।

তারা দামী গাড়ি ব্যবহারসহ বিপুল পরিমাণে লভ্যাংশ দেয়ার অভিনব কৌশল দেখায় মো. কাদির ভুঁইয়া রাজিব। তিনি সবাইকে বলতো লেন-দেনের বিষয়ে যেন অন্য কেউ না জানে। কারণ তারা সবার সাথে লেনদেন করবে না।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মাহিরুল ইসলাম চেয়ারম্যান এবং আবদুল কাদির ভুঁইয়া রাজিব প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তারা দুজন প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক ধাপে মো. ফয়সাল সরকারের কাছ থেকে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

তিনশত টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র হলেও তারা চেক প্রদানে গড়িমসি করে। চাপের মুখে কয়েকটি চেক প্রদান করলেও ব্যাংকে গিয়ে বাদী ফয়সাল কোনো টাকা উত্তোলন করতে পারেনি।

ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে না পারায় বাদী সাক্ষীগণকে সাথে নিয়ে আসামিদের সাথে দেখা করলে আসামিরা সাক্ষীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং  টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে অফিস থেকে বের করে দেন। বাদী স্থানীয়ভাবে বসে মীমাংসা করার বহু চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়ায় অবশেষে আদালতের শরণাপন্ন হন। 

মামলার বাদি ফয়সাল ছাড়াও এলাকার বহু চাকরিজীবী এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। অনেকে তাদের ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অবিলম্বে ওই জালিয়াতচক্রের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগী ফয়সাল। 

রূপগঞ্জের তারাবো পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আফজাল কবির জানান, আব্দুল কাদির ভুঁইয়া রাজিবসহ তার সহযোগিরা এলাকার বহু লোকজনের কাছ থেকে ব্যবসায়ীক পার্টনার ও লভ্যাংশের ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।