বন্দরের আওয়ামী লীগ নেতা কাদির ডিলারের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিসি ও এসপি অফিসে মঙ্গলবার স্মারকলিপি প্রদান করেন ভুক্তভোগীরা।
বন্দর থানার মুছাপুর ইউনিয়নের কামতাল মৌজার জায়গা দখলবাজ অব্দুল কাদির ডিলারের খপ্পর হইতে ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন গং এর জমি উদ্ধারসহ সঠিক বিচারের জন্য এ স্মরকলিপি প্রদান করেন ।
কাদির ডিলার বন্দর উপজেলার একজন প্রভাবশালী নেতা। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের একজন সদস্য, পাশাপাশি বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি। আওয়ামীলীগ নেতা হওয়ার দরুন তার গুণের যেন শেষ নেই। ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, হামলাসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনায় একজন দক্ষ নেতা বলে তাকে স্থানীয়রা আখ্যা দেয়।
প্রায় ২৫৬.৫০ শতাংশ জমি নিয়ে আসামি কাদির ডিলারের আক্রোশের শিকার হন স্থানীয় শিহাব উদ্দিন মেম্বার, মান্নান মাস্টার, মোয়াজ্জেম হোসেন কালু, মুক্তা, সামছুন্নাহার এবং মনির হোসেন। নিজ ক্রয়কৃত জমিতে নিজেরাই পারছেনা স্বস্তিতে বসবাস করতে।
কাদির ডিলারের হুমকি থেকে হামলা, কোনোটা থেকেই নিস্তার পায়নি তারা। হামলার নৃশংসতা এমন যে, জমির দখল পেতে জমির আসল মালিকদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করতেও কুণ্ঠাবোধ করেনি আসামি কাদির ডিলার।
কাদির ডিলারের অপরাধের যেমন শেষ নেই, কোর্টে অভাব নেই মামলারও। আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, এত অপরাধ ও নৃশংসতার পরও তাকে একঘন্টার জন্যও জেলে আটকে রাখা সম্ভব হয়নি।
অভিযোগ আছে, কাদির ডিলারের তিন ছেলে যথাক্রমে মনির, আলীনূর এবং মেজবাহ উদ্দিন মিলন বাবার নির্দেশে বিভিন্ন অপরাধ ও বিশৃঙ্খলাপূর্ণ কাজ করে থাকে। আওয়ামীলীগের উচ্চপদস্থ নেতাদের সহায়তায় বারংবার বেঁচে গিয়েছেন শাস্তি থেকে।
অথচ গত ৫ আগস্টে আওয়ামী সরকার পতনের পর আওয়ামীলীগের উচ্চপদস্থ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা গেলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন কাদির ডিলার এবং তার পরিবার।
কার ছত্রছায়ায় থেকে কাদির ডিলার এখনও বুক ফুলিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং কবে হবে তার সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অবসান এমন জোরদার প্রশ্ন তুলছেন মুছাপুর ইউনিয়নের স্থানীয় জনগণ।