বন্দরে শাহীমসজিদ পঞ্চায়েতের অবৈধ ও বিতর্কীত কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি করার আহবান জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের নিকট লিখিত ভাবে আবেদন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বন্দর শাহী মসজিদ এলাকাবাসীর গন স্বাক্ষরিত আবেদনটি উপজেলা নির্বাহী দপ্তরে জমা দেন তারা।
আবেদন পত্রে উল্লেখ্য করা হয়, আমরা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ২১ ও ২২ নং ওয়ার্ডের ঐতিহাসিক শাহী মসজিদের মুসল্লীগন। শাহী মসজিদের আশে পাশে স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা থাকার কারনে উল্লেখিত মসজিদ কমিটির গুরুত্ব দাবি রাখে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো গত ২০২২ইং- ২০২৪ইং মেয়াদের কমিটি বিলুপ্ত হবার পর হান্নান সরকার ও বদরুজ্জামানগং নিজেদের মনগড়া চিন্তা ভাবনা নিয়ে গঠনতন্ত্র ছাড়া বিতর্কিত এডহক কমিটি গঠন করে। সে সাথে বিতর্কিত এডহক দিয়ে তাদের কাজ গুলো চালিয়ে আসছে।
গত মেয়াদের ৫২ জন সদস্য থেকে ১৯ জন সদস্যকে নিয়ে এডহক কমিটি গঠন করা হয়। যা জনগনের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। প্রথম থেকে বৈষম্য ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
গত ২৫ অক্টোবর বিতর্কিত এডহক কমিটি সাধারণ সভার মাধ্যমে মূল কমিটি প্রকাশ করতে চাইলে বিষয়টি বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট অবগত করলে থানার ওসি তাৎক্ষণিক সভা স্থগিত করে। পরবর্তীতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে কিছু সংখ্যক লোক নিয়ে মিছিল করে।
গত ২৮ অক্টোবর সাধারন সভা ছাড়া এডহক কমিটির ১৯ জন সদস্যকে মূল কমিটিতে এনে পুনাঙ্গ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের লোকজন এই কমিটিতে রাখা হয়। যা জনগনের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
কমিটির সভাপতি হিসেবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গুলি বর্ষনকারি ফতুল্লা মডেল থানার মামলা নং - ৭(১০)২৪ এর ৬ নং এজাহারভূক্ত হান্নান সরকারকে পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি বানানো হয়। সে নিজেক সভাপতি পরিচয় দিয়ে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
গত ১৫ নভেম্বর সাধারন সভা না দিয়ে তারা পরিচিত সভার ডাক দিয়েছেন। এতে এলাকার মানুষ চরম ভাবে ক্ষিপ্ত ও ধিক্কার দিয়েছে। মাসিক আয় ব্যয় হিসাব প্রায় ৪০ লাখ টাকার ওপরে। এর মধ্যে ১০ লাখ টাকার হিসাব গরমিল রেখে সাধারন সভা না দিয়ে জনগনকে ফাকি দিয়ে কমিটি গঠন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে এটিও বিতর্কিত সিন্ধান্ত।
আবেদন পত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ নুরুল ইসলাম, সাহাদাত, সাইফুল ইসলাম রিপন, খোকন, সিরাজুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, মনির, পিয়ার, শাহাজাহান, নাজিম উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন, জসিমসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।