বন্দরে ১ দিনে মহিলাসহ ৩ টি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলো- মো: রুবেল (২৫), রুবেল (৩০) ও রুমি গাইন (২২)। এদের মধ্যে রুমি গাইন আত্মহত্যা করলেও অপর দু’জন হত্যাকান্ডের শিকার বলে ধারণা হচ্ছে।
বুধবার ( ১৩ নভেম্বর) বিকালে বন্দর উপজেলার পৃথক স্থান থেকে পুলিশ মরদেহগুলো উদ্ধার করে। এদিকে ১ দিনে ২ টি হত্যাকান্ডের ও ১ মেয়ে আত্নহত্যার ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এবং স্থানীয়দের মাঝে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শংকা দেখা দিয়েছে।
জানাগেছে, নিহত রুবেল (৩০) বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়নের হরিবারি এলাকার মৃত রফিজ উদ্দিনের ছেলে। কে বা কারা হত্যা করেছে তা এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত জানা যায় নি।
অপরদিকে একই দিনে সন্ধ্যার পূর্বে মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কের নবীগঞ্জ রেললাইন ব্রীজের নীচে অর্ধগলিত যুবক মো. রুবেল (২৫) এর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে নারায়নগঞ্জ সদর থানার মজিদ খানপুর এলাকার কালাচান মুন্সির ছেলে। পরিবারের সাথে বন্দর ইউনিয়নের কদমতলী রুপনগর এলাকার ভাড়া থাকতো।
এদিকে নাসিক ২৩ নং ওর্য়াডের কদম রসুল শাখা অফিস সংলগ্ন রুমি গাইন (২২) বুধবার আছর নামাজ আদায় শেষে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে। নিহত রুমি গাইন মোঃ আমির হোসেনের মেয়ে ও কদমরসুল সিটি কর্পোরেশন, ২৩ নং ওয়ার্ড আঃ বাতেন খানের ৪ তলা বিল্ডিংয়ের ভাড়াটিয়া।
রুমি গাইন ৪ ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় ও চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার চরভৈরবী এলাকার আমির হোসেনের মেয়ে।
এ বিষয়ে বন্দর ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক এইচ এম মাহমুদ জানান, নবীগঞ্জ রেললাইন ব্রীজের নীচের অর্ধগলিত যুবকের মরেদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তেমনি হরিবারি থেকে যুবক রুবেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কদম রসুল এলাকা থেকে রমি গাইন নামের আত্মহত্যাকারীর মরদেহ উদ্ধার করলেও তদন্ত ছাড়া কোনটির বিষয়ে সঠিক বলা যাবে না। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
