নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মোবাইল ছিনতাইকারী আখ্যা দিয়ে এজজন পুলিশ সদস্যসহ ২ জনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে সানারপাড় বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত আবু সাঈদ পিয়াল।
আটকরা হলো- দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলর বড় হাসেমপুর গ্রামের মৃত শরাফত আলির ছেলে পুলিশ কনস্টেবল আবু নূর শফিউজ্জামান (৫৫) ও বরিশাল জেলার মুলাদি থানার নাজিরপুর গ্রামের নেছার উদ্দিনের ছেলে মো. রাজু (৪৫)। তিনি ঢাকার রামপুরা এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ কনস্টেবল আবু নূর শফিউজ্জামান বলেন, আমি ঢাকার কলাবাগান থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলাম। কয়েকদিন আগে আমাকে থানা থেকে পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়েছে।
এখনো কোন থানায় পোষ্টিং করা হয়নি। আমি আমার বন্ধু রাজুকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে এক আত্মীয়র বাসায় বেড়াতে আসি।
সকালে দুজন ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে সানারপাড় বাসস্ট্যাণ্ড গেলে একজন ছিনতাইকারী আমার মেবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। তখন আমি তাকে ধরে ফেলি।
এসময় আরো ২-৩ জন এসে ছিনতাইকারীর পক্ষ নিয়ে আমার সঙ্গে তর্ককিতর্ক শুরু করে। আমি নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দিলে তারা উল্টো আমাকে ছিনতাইকারী বলে ডাক চিৎকার শুরু করে। তখন কিছু শিক্ষার্থী এসে কোন কিছু জিজ্ঞাস না করেই আমি ও আমার বন্ধকে মারধর করতে থাকে। তারা আমার কোন কথাই শুনেনি। তারা আমাকে ভুয়া পুলিশ ভেবেছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত আবু সাঈদ পিয়াল বলেন, শিক্ষার্থীরা ২ জনকে আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করেছে। তাদের একজন নিজেকে পুলিশ সদস্য দাবি করছেন। তার দাবি ও কি ঘটনা ঘটেছে তা যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।