বন্দরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে দাবিকৃত পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামালের সন্ত্রাসী বাহিনীরা হামলা চালিয়েছে ।
এ সময় প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. রাকিবুজ্জামান (৩১) কে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথা ও হাতে রক্তাক্ত জখম করে ৫০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এরআগেও ওই ম্যানেজারকে জিম্মি করে যমুনা ব্যাংক এর ১ লাখ টাকার একটি চেক নিয়ে যায়। আহত জাহাঙ্গীর সিদ্ধিরগঞ্জের মুুক্তিনগর এলাকার মোতালেব মাতব্বরের ছেলে। এ ঘটনায় ভ্ক্তুভোগী ম্যানেজার বন্দর থানা ও সেনাবাহিনীর বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, আহত মো. রাকিবুজ্জামান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএইচ ডিলাক্স এন্টার প্রাইজ ও বিনিময় ট্রেড্রাস এর এর ম্যানেজার। ওই দুই ঠিকাধারীর প্রতিষ্ঠান বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন জাঙ্গাল রোডের সংস্কার কাজ নিয়ে গত মে মাস থেকে কাজ করে আসছে।
কাজ চলমান অবস্থায় গত ২৭ জুলাই ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামালের নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনী জাকির, কাইয়ুম, লিটনসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জাঙ্গাল রোডে এসে ম্যানেজার মো. রাকিবুজ্জামানকে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসস্ত্র দেখিয়ে জিম্মি করে বলে, এখানে কাজ করতে হলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে।
পরে তিনি সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে তাদের মধ্যে জাকিরের নামে যমুনা ব্যাংকের একটি এক লাখ টাকার চেক দিয়ে দেন।
এরআগে সংস্কার কাজ করার স্বার্থে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাঙ্গাল রোডে একটি সরকারি টিন সেট ঘর নির্মাণ করে কর্মীদের খাওয়া দাওয়া ও বিশ্রামের জন্য।
গত ৩১ অক্টোবর ট্রাক দিয়ে অন্যন্থানে টিনের ঘরটি নিয়ে যাওয়ার সময় আবারও সাবেক চেয়ারম্যান কামালের হুকুমে ওই সন্ত্রাসীরা ফের দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
এ সময় সন্ত্রাসীরা ম্যানেজার মো. রাকিবুজ্জামান (৩১) কে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথা ও হাতে রক্তাক্ত জখম করে ৫০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এদিকে এ ঘটনায় ওই এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, কামাল চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে জিম্মি এলাকাাবসী। এলাকায় ভুমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ এমন কোনো অপরাধ নেই কামাল চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী না করে থাকে।
তাদের দাবি এসব অপরাধিনের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হউক। না হলে নিরীহ সাধারণ মানুষ এলাকাবাসীর শান্তি-শৃঙ্গলা বিঘ্নসহ আইনশৃংখলা বিনষ্ট হবে।
এ বিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার এসআই জহিরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্তনাধীন। প্রাথমিক অবস্থায় মারধরের সত্যতা মিলেছে। অন্যান্য বিষয়গুলো তদন্ত শেষে জানানো