বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর হামলাকারিদের সাথে বন্দর উপজেলা পরিষদের নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালের ঘটনায় বন্দরে সর্বত্রস্থানে ব্যাপক আলোচনা ও সমলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছে, বন্দরে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির দোসররা এখনো সক্রিয় রয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের ৩ মাস না যেতেই তাদের দোসররা সরকারি বিভিন্ন দপ্তর পূর্বের ন্যায় বর্তমানেও নিয়ন্ত্রন নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরো জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চালাকালিন সময়ে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক এমপি শামীম ওসমানের আহবানে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধানের নেতৃত্বে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের আসাদ মাষ্টার, মনিরসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা চাষাড়া, সাইনবোর্ডসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে বৈষম বিরোধী ছাত্র ও জনতার উপর হামলা চালায়।
এ ঘটনায় কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা দায়ের হলেও রহস্য জনক কারনে আসাদ মাষ্টার ও মনিরগং রয়ে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে আরো জানাগেছে, আওয়ামীলীগের শাসন আমলে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ১নং মাধবপাশা এলাকার মৃত হারেজ প্রধানের ছেলে দেলোয়ার হোসেন প্রধান ওসমান পরিবারের আর্শিবাদপুষ্ট হয়ে উল্লেখিত ইউনিয়ন পরিষদের তিন তিন বার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন।
দেলোয়ার প্রধান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার বিশ্বস্ত সহযোগি আসাদ মাষ্টার, মনিরসহ তাদের অনুগতরা তৎকালীন সময়ে বন্দর থানার ওসি ও মদনগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশকে ম্যানেজ করে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে রাতারাতি ১৫/২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
এ ছাড়াও জমি দখলের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান মামলা খেয়ে আত্মগোপনে থাকায় তার অনুপস্থিতে তার দোসরা বিভিন্ন অপর্কম ডাকতে প্রশাসন বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে।
এর ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাতে সাবদী একটি পার্কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র ও জনতার উপর হামলাকারি আসাদ মাষ্টার ও মনিরগং এর সাথে নবাগত ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এ নিয়ে বন্দরে সর্বত্র স্থানে আলোচনা ও সমলোচনা সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।