নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ পাকাপুল এলাকায় জোরপূর্বক জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে জয়নাল মল্লিক গংদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আশরাফ উদ্দিন মল্লিক বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, ধর্মগঞ্জ পাকাপুল এলাকার মৃত:- রমজান মল্লিকের ছেলে জয়নাল মল্লিক, শরীফ মল্লিক, শহিদুল মল্লিক, আসাদুল মল্লিকসহ অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জন।
এই জমি নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি চলমান রয়েছে, কিন্তু চক্রটি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখলের বারবার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
ভুক্তভোগী আশরাফ উদ্দিন মল্লিক জানান, জয়নাল মল্লিক গং চক্রটি আমাদের জমিটি দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের জমির উপর স্থাপনা তৈরি করে জমিটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালালেও স্থানীয়দের তৎপরতায় চক্রটি তা করতে ব্যর্থ হন।
সরকারের পতন হওয়ায় স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক নির্মাণ কাজ করার পায়তারা করছে। চক্রটি মাঝে মধ্যে মহড়া দিয়ে ভীতি তৈরি করছে এলাকায়। এছাড়াও আদালতের স্থিতিবস্থা জারি থাকা সত্বেও জমি দখলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ধর্মগঞ্জ খতিয়ান নং মৌজাস্থিত, সি, এস খতিয়ান নং-১৮৪, সি, এস দাগ-১৮২ এস,এ ও আর,এস খতিয়ান নং-৩৩৭, নামজারি ও জমা বাগ খতিয়ান নং -৬৫৪৫, যাহার জোত নং-৬৫৪। দাগ নং সি এস ও এস এ ৪০৭, আর এস ৮০২, দাগের ১ ১৬ আনার ৬৫ শতাংশের কাতে ৫ শতাংশ জমি নিয়ে জয়নাল মল্লিকের সহিত দীর্ঘদিন যাবৎ আমারও পরিবারের সহিত বিবাদ চলিয়া আসিতেছে।
ইহার ফলশ্রুতিতে বিবাদী জয়নাল মল্লিক আমি ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ চিপ জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২ মোকাদ্দমা দায়ের করি। যার মামলা নং ৪২/২০২৪ বিজ্ঞ আদালত আমাদের ২ পক্ষের দলিল পেশ করার নির্দেশ প্রদান করে। কিন্তু তারা সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
আদালত দুপক্ষকেই কোন প্রকার জমিতে নির্মাণ কাজ করতে বাধা নিষেধ করে। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুনরায় তারা আমার জমিতে স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করে। আমি খবর পেয়ে আমাদের জমিতে গেলে আমাকে অকথ্য ভাষা গালাগালি সহ আমার বড় ভাইকে মারধর করে গুরুতর জখম করে। এবং হুমকি প্রদান করে যে পুনরায় এই জমির আশেপাশে আসলে হত্যা করে লাশ ঘুম করে ফেলবে।
বর্তমানে জয়নাল গং নানা হুমকী দমকি ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখাচ্ছে। এসব ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমি প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মাহমুদুল জনি জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। দুপক্ষকে আদালতের নির্দেশ মানার জন্য বলে এসেছি।