নারায়ণগঞ্জে শীর্ষ সন্ত্রাসী মুন্না কে তার নিজ শশুর বাড়ি সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বেলাব গ্ৰাম থেকে ধরিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে এলাকার জনগণ। সোমবার (৪ নভেম্বর) সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বেলাব গ্রাম থেকে ধরিয়ে দিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষের।
তথ্য নিয়ে জানা যায়, মুন্নার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সে মৃত জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে, এবং ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোকলেছুর রহমান এর ভাগিনা। সে ৫ আগস্টের ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহন করেছিল। এছাড়াও সে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা আসামি এবং অবৈধ অস্ত্র মামলার আসামি।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সে সরাসরি সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ আড়াইহাজারসহ বিভিন্ন উপজেলা অস্ত্রের মহড়া দিত। মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও জমি দখল সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত ছিল।ভয়ে এলাকার লোকজন কিছ্ইু বলতে পারতেন না।
মুন্না একা নয় তার সাথে আছে তার ছোট ভাই মাহিন, রাব্বি, সাজীব, সিহাব, সাজিদ, অনিক, আফসার, সেলিমসহ অসংখ্য কিশোর গ্যাং সদস্য। তাঁরা দিনের বেলায় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিত। তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারতো না।
তাঁদের শেল্টার দাতা হিসেবে কাজ করতো জামপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার এর বড় ছেলে ফয়সাল আহমেদ। ফয়সাল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ নেতা। ফয়সাল হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।
যুবলীগ নেতা ফয়সালের নেতৃত্বে সোনারগাঁ, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, বন্দর সহ বিভিন্ন এলাকায় ফয়সালের আতঙ্ক ছড়িয়ে বেড়াতো। এশিয়ান হাইওয়ে থেকে ডাকাতি করতো বলে জানা যায়।
মুন্নার এই অপকর্মে অতিষ্ট হয়ে সোমবার দুপুরে এলাকা বাসী এক হয়ে তার বাড়ি থেকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
এই বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি মো. আব্দুল বারী বলেন, দুইজন যুবলীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে। তবে মুন্না কি না তা বলতে পারছি না। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।