নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

রোববার,

২৪ নভেম্বর ২০২৪

বাবা-মাকে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ দুই সন্তানের বিরুদ্ধে

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২১:৪৭, ২ নভেম্বর ২০২৪

বাবা-মাকে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ দুই সন্তানের বিরুদ্ধে

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সম্পত্তি জোর করে লিখে নেওয়ার জন্য বাসার মধ্যে আটক করে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ মা-বাবা ও ছোট ভাইকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে দুই সহোদরের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা হলেন সিদ্ধিরগঞ্জের ওয়াপদা কলোনী এলাকার দ্বীন ইসলাম (৪০) এবং মো. ফয়সাল মোল্লা (৩৬)।

এ ঘটনায় গত ৩০ অক্টোবর মা নুরুন নাহার বাদী হয়ে দুই ছেলের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা তার দুই ছেলে। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ তার ও স্বামীর জায়গায় সম্পত্তি লিখে নেওয়ার জন্য তাকে ও তার স্বামীকে বাসার মধ্যে আটক করে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।

বর্তমানে তিনি তার ছোট ছেলে মো. রাসেল মোল্লার (৩৫) সঙ্গে থাকেন। এ কারণে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছোট ছেলেকেও বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি প্রদান করেন।

এর জের ধরে গত ৩০ অক্টোবর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোড এলাকায় চাঁন সুপার মার্কেটে তার স্বামী নাজিম উদ্দিন মোল্লা ও তার ছোট ছেলে মোঃ রাসেল মোল্লা (৩৫) অবস্থানকালে বিবাদীরা মার্কেটে গিয়ে তার স্বামীকে পুনরায় অন্যান্য জায়গা সম্পত্তিসহ তার জায়গা সম্পত্তি লিখে দিতে বলেন।

তখন তার স্বামী বিবাদীদের কথা রাজি না হলে  তারা তার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তার স্বামী বিবাদীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে বিবাদীরা তার স্বামীকে মারধর করার জন্য উদ্যত হোন।

তখন তার ছোট ছেলে মো. রাসেল মোল্লা বিবাদীদের বাধা প্রদান করলে বিবাদীরা তার ছোট ছেলেকেও মারধর করার জন্য উদ্যত হোন এবং তিনি, তার স্বামীসহ তার ছোট ছেলে মো. রাসেল মোল্লাকে (৩৫) সুযোগমত পেলে খুন করে সকল জায়গা সম্পত্তি দখল করে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. ফয়সাল মোল্লা বলেন, পারিবারিক কিছু বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। এছাড়া তেমন কিছু হয় নি। যেসব কথা আমাদের বিরুদ্ধে বলা হয়ে তা মিথ্যা।

অভিযোগের তদন্তাধীন কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়াসিম আকরাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের পরদিনই আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে বসেছিলাম। মূলত তাদের বাবা ও দুই ভাইয়ের সঙ্গে এই দ্বন্ধ চলছে।

যা নিয়ে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিকবার বুঝানো হলেও তারা কেউই নমনীয় হতে নারাজ। তাই আমাদের পক্ষ থেকে বিষয়টি সমাধানের জন্য কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।