বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ফতুল্লায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেল চারটায় বৃহত্তর কুতুবাআইলে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব বলেন, আমরা এমন একটি দলের কর্মী নিজের স্বার্থ বিলীন দিও দেশের স্বার্থে আমরা নিজের জীবন বিলিয়ে দেই।
আমরা কখনো অন্যায়ের কাছে আপোষ করি নাই। আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও এই স্বৈরাচারী সরকারের এত অত্যাচারও তিনি কিন্তু কখনও আপোষ করেনি। তিনি দেশ এবং দলের নেতাকর্মীদের ছেড়ে কিন্তু বিদেশেও জাননি চিকিৎসার জন্য। তিনি বলেছিলেন মরতে হলেও আমি এদেশেই মরবো তারপর আমি দেশের বাইরে যাব না। এই দেশ আমার শেষ ঠিকানা।
তিনি বলেন, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেত্রীকে দেখেন দেশের মানুষের প্রতি এতো অন্যায় অবিচার জুলুম নির্যাতন গুণ খুন করার পরে এখন নিজের দলের নেতা কর্মীদেরকে ছেড়ে তিনি পালিয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। অথচ তিনি একটিবারও চিন্তা করলেন না দেশ ও তার নেতাকর্মীদের জন্য ।
পাপের বোঝা এতটাই বেশি হয়ে গেছিল যে নিজের প্রতি তার কোন আত্মবিশ্বাস ছিল না। আর আমাদের নেতা বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আত্মবিশ্বাস ছিল আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একদিন এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটবে। গতই পারছি আগস্ট ছাত্র জনতা আন্দোলনের মাধ্যমেই স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়েছে।
দীর্ঘ ১৭টি বছর তিনি আমাদেরকে সেই দূর প্রবাসে থেকো আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন। নেতাকর্মীদের মনবল তিনি ঠিক রেখেছেন ফলের নেতাকর্মীরা ভেঙ্গে পড়েনি জানে লক্ষ্য ঠিক থাকলে একদিন বিজয় আমাদের আসবে আর সেই বিজয় এসেছে গতই ৫ ই আগস্ট ছাত্রজন তার আন্দোলনের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে ফ্যাসিবাদী আওমি সরকারের আমলের দায়েরকৃত আমাদের নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে তারকিত এ সকল মিথ্যা মামলার একটিও কিন্তু প্রমাণ করতে পারেনি।
সুতরাং অচিরে তার সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করতে দিতে হবে। তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে ইনশাল্লাহ আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে এবং তারেক রহমান এদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে।
ফতুল্লা থানা সাবেক ছাত্রদল নেতা আরিফুর রহমান আরিফের সভাপতিত্বে ও সরকারি তোলারাম কলেজ ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান শ্যামলের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন রানা।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, বিএনপি নেতা তোফাজ্জল হোসেন, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আঃ জব্বার, সোহেল ভূঁইয়া, যুবদল নেতা আব্দুর কবির খোকন, রাসেল প্রধান, মীর জনি, শাহাদাৎ হোসেন, পারভেজ হোসেন বাবু, আঃ হান্নান, শাকিল হোসেন, কামাল হোসেন, এড. সাদ্দাম হোসেন, এড. শামীম মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন, শাকিল, নাজমুল হক, মো. রবিন, ফজলে রাব্বি, আতাউর রহমান, আব্দুল আহাদ, আব্দুল হক, হাফিজুল ইসলাম, হাসান মাদ্রাজী, মোহাম্মদ হাসান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হাসান রবিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুর রহমান সুমন, সদস্য রুবেল কিবরিয়া, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, সামাউন ইসলাম স্বর্না, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সরকারসহ যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ।