নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

মঙ্গলবার,

০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সোনারগাঁয়ে স্কুলের জমি রক্ষায় মানববন্ধন 

নারায়ণগঞ্জ টাইম:

প্রকাশিত:১৮:০২, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

সোনারগাঁয়ে স্কুলের জমি রক্ষায় মানববন্ধন 

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা শিল্প নগরী স্কুল এন্ড কলেজের জমি ভূমিদস্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

রোববার( ২৭ অক্টোবর)সকালে ওই স্কুলের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।মিছিলটি মেঘনা শিল্প নগরী এলাকায় প্রদক্ষিণ করে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সোহেল রানা, বিএনপি নেতা আশরাফ প্রধান, মেঘনা শিল্প নগরী স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক ওবায়দুল হক, প্রভাষক বাহাউল হক, সহকারী শিক্ষক সানোয়ারা বেগম, যুবদল নেতা শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, ২০১০ সালে এ জমিটি সরকারের কাছ থেকে স্কুল ও মুক্তিযোদ্ধাদের নামে লিজ নেওয়া হয়েছে। লিজ নেওয়ার পর থেকে স্কুল ও মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামজারি ও দিয়ারা রের্কড করা হয়। পরবর্তীতে জমিতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও স্কুল কর্তৃপক্ষ উন্নয়নের জন্য মার্কেট নির্মাণ করেন। সেখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।  গত বৃহস্পতিবার সকালে ওই এলাকায় ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত আব্দুল মতিন নামের এক ব্যাক্তি ওই জমিতে ক্রয় সূত্রে মালিকানা দাবি করে একটি সাইনবোর্ড সাটিয়ে দেয়। এতে করে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে স্থানীয়রা। তাদের দাবি ভুমিদুস্য আব্দুল মতিন জাল তৈরি করে এ জমি দখলের চেষ্টা করেছেন। এর আগেও সে বিভিন্ন মানুষের জমি জাল দলিল তৈরি করে দখল করেছেন।

রোববার সকালে ওই জমি রক্ষায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। পরে ওই এলাকায় বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি মেঘনা শিল্প নগরী এলাকায় প্রদক্ষিণ করে। অভিযুক্ত আব্দুল মতিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি এ সম্পত্তি রেকর্ডীয় মালিকদের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন। এ সম্পত্তি সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক স্কুল ও মুক্তিযোদ্ধাদের লিজ বরাদ্ধ দিয়েছেন। কিভাবে রেকর্ডীয় সম্পত্তি হয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন কাগজপত্র নিয়ে বসলেই এটি ব্যক্তি সম্পত্তি না সরকারী পরিস্কার হয়ে যাবে।

 

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান বলেন, স্কুল ও মুক্তিযোদ্ধাদের নামে জমি বরাদ্ধ দেওয়া হলে অবশ্যই জমি উদ্ধার করা হবে। কেউ সাইনবোর্ড সাটালেই তার জমি হয়ে যায় না। তবে যে ব্যক্তি জমিতে সাইনবোর্ড দিয়েছে তাকে কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য তাগিদ দেওয়া হবে।