বন্দরে হোসিয়ারি শ্রমিক সোহান (১৮) হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামী অনিক (১৮)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত অনিক রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে এ হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই জলিল মন্ডল।
গ্রেপ্তারকৃত অনিক বন্দর থানার শাহীমসজিদস্থ নূরবাগ এলাকার রতন মিয়ার ছেলে। এর আগে গত রোববার (১৩ অক্টোবর) রাত সোয়া ৮টা থেকে পৌন ৯টার মধ্যে যে কোন সময়ে বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের রুপালী আবাসিক এলাকার জনৈক মুস্তাক মিয়ার ২য় তলা বিল্ডিংয়ের নীচ তলার গেইটের ভিতরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
নিহত হোসিয়ারি শ্রমিক সোহান বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের সালেহনগর নতুন জামে মসজিদ সংলগ্ন জনৈক হীরা মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া উক্ত এলাকার সালাম মিয়ার ছেলে।
মামলার বাদিনী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানাগেছে, বন্দর থানার সালেহনগর এলাকার জনৈক হীরা মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া দিনমজুর সালাম মিয়ার ছেলে সোহান পেশায় একজন হোসিয়ারি শ্রমিক। এ সুবাদে হোসিয়ারি শ্রমিক সোহানের সাথে একই এলাকার কাজল মিয়া ও তার ছেলে রাজগংদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতা চলছিল।
গত রোববার বিকেলে সোহান বাড়িতে ছিল। পরে ওই দিন রাত ৭টায় সোহান বাসা হইতে বের হয়ে যায়। উক্ত বিরোধের জের ধরে রোববার রাত সাড়ে ৮টার সময় বিএনপি নেতা কাজলের হুকুমে তার সন্ত্রাসী ছেলে রাজসহ অজ্ঞাত নামা ২০/২৫ জন কিশোর অপরাধী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে
বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের রুপালী আবাসিক এলাকার জনৈক মুস্তাক মিয়ার ২য় তলা বিল্ডিংয়ের নীচ তলার গেইটের ভিতরে হোসিয়ারি শ্রমিক সোহানের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারীরা সোহানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, হোসিয়ারী শ্রমিক সোহান হত্যা ঘটনায় ৪ আসামী মধ্যে অনিক হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।