সায়েম (১৬) নামে এক কিশোর শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ১১টায় গুলিস্থান থেকে চিটাগাং রোডের উদ্দেশ্যে ‘সময়’ পরিবহনের একটি বাসে উঠে। তার বাসা সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে। বাসটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক বাসস্ট্যান্ড আসার পর যাত্রী নামার পর বাস পুরোপুরি খালি হয়ে যায়। এসময় চিটাগাংরোড নামবে বলে সায়েম গেটের সামনে যায়। এবং গেটে দাড়িয়ে বাইরে থুথু ফেলে। কিন্তু বাতাসে থুথু গাড়ির সিটে এসে পড়ে। তখন বাসের হেলপার রেগে উঠে। সায়েম বলে ভুলে পড়ে গেছে। এসময় বাসের চালক, হেলপারসহ ৪ জন মিলে গাড়ির ভেতর সায়েমকে মারধর শুরু করে। সে গাড়ি থেকে নামতে চাইলেও নামতে না দিয়ে কাঁচপুরের দিকে গাড়ি নিয়ে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে কিলঘুষি মেরে মোবাইল ফোন রেখে গাড়ি থেকে সায়েমকে নামিয়ে দেয়। পরে সায়েম বাসায় এসে তার বাবার ফোন দিয়ে নিজের নাম্বারে ফোন দেয়। তখন বাসের হেলপার ফোন রিসিভ করে বলে আপনারা মৌচাক বাসস্ট্যান্ডে আসেন। এসে ফোন নিয়ে যান। এবং ছেলেকে নিয়ে আইসেন অনেক বুঝাপড়া আছে। এ কথা শুনার পর সায়েম বিষয়টি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্র প্রতিনিধি মেহরাব হোসেন প্রভাতকে অবহিত করে। রাত সাড়ে ১২টায় প্রভাত সিদ্ধিরগঞ্জ থানার টহল পুলিশের দায়িত্বে থাকা এস আই ওয়াসিমকে ঘটনাটি জানায়। পরে পুলিশের টহল টিমের সাথে প্রতাভ ও ভিকটিম সায়েম মৌচাকে মেসার্স শামস ফিলিং স্টেশনে যায়। পাম্পের পাশে বাসটি পার্কিং করা ছিল। পুলিশ বাসের চালক ইউসুফ ও হেলপার ইকবালের কাছ থেকে সায়েমের ফোন উদ্ধার করে। এবং এস আই ওয়াসিম ঘটনাস্থল থেকে বাসের মালিক মোহাম্মদ আরিফকে কয়েকবার ফোন দিলেও সে ফোন রিসিভ করেনি। পরে পেট্টোল পাম্প ও আশপাশের লোকজন বিষয়টি জানার পর চালক ও হেলপাকে মারধর করে ভুক্তভোগির কাছে ক্ষমা চাওয়ায়। পরে তাদের অনুরোধে চালক ও হেলপারকে ছেড়ে দেয়া হয়।
মেহরাব হোসেন প্রভাত জানায়, পুলিশের তড়িৎ প্রদক্ষেপের কারণে সায়েম তার মোবাইলটি পেয়েছে। পুলিশের এমন সহযোগিতায় আমরা খুশি। আসলেই দিন শেষে পুলিশই জনতার রক্ষক।
এস আই ওয়াসিম জানান, আমি ঘটনাটি শুনার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এবং ভুক্তভোগির মোবাইলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই। পরে স্থানীয় লোকজনের অনুরোধে চালক ও হেলপারকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে তাদের সকল তথ্য সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতে বাস যাত্রীদের সাথে এ ধরনের আচরণ করলে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।