বন্দরে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে অংশগ্রহন করার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলা ছাত্রদল নেতাসহ ৩ যুবক রক্তাক্ত জখম হয়েছে।
আহতরা হলো ছাত্রদল নেতা আকাশ আহাম্মেদ (৩০) রুবেল (২৮) ও সাদিক (২৭)। স্থানীয়রা আহতদের মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। আহতদের মধ্যে আকাশের অবস্থা আশংকা জনক।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের মীরকুন্ডী ব্রীজের সামেন ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এলাকাবাসী তথ্য সূত্রে ও আহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর থেকে বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের সালেনগর এলাকার বাসিন্দা ও বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি আমির হোসেনের শেল্টারে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নয়ানগর ও মুখফুলদি এলাকার চিহ্নিত মাদক সম্রাট ও সন্ত্রাসী সাইদুল ইসলামসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের অত্যচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে উল্লেখিত এলাকার শান্তিপ্রিয় জনগন।
সাইদুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী অত্যাচার থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য গত শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে উল্লেখিত এলাকাবাসী মানববন্ধনের আয়োজন করে। ওই সময় মুখফুলদি এলাকার ছাত্রদল নেতা আকাশ আহম্মেদ মানববন্ধনে অংশগ্রহন করে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বক্তব্য প্রদান করে।
এ ঘটনার জের ধরে যুবদল নেতা আমির হোসেন ও সাইদুল ইসলাম নেতৃত্বে মীরকুন্ডী এলাকার নূর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে রাসেল একই এলাকার হাবিবুর রহমান মিয়ার ছেলে সেলিম উক্ত এলাকার আনোয়ার, হাবিব মিয়ার ছেলে সৈকত, সিরাজুল মিয়ার ছেলে সোহেল, বালুর চর এলাকার হযরত আলী ছেলে খোকন মেম্বার একই এলাকার আফিজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে আমির, মীরকুন্ডী এলাকার অনোয়ার ও জিয়া মিয়ার ছেলে রাহাতসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী দেশিও অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হয়ে প্রতিবাদী যুবক ছাত্রদল নেতা আকাশ, রুবেল ও সাদিককে হত্যা উদ্দেশ্য তাদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়।
ওই সময় হামলাকারীরা ধারালো চাকু, চাপাতি ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে উল্লেখিতদের বেদম ভাবে রক্তাক্ত জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।