নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

মঙ্গলবার,

২২ অক্টোবর ২০২৪

ফতুল্লার কুতুব আইলে আকতার-সুমনের বাড়ি আওয়ামী ক্যাডারদের আস্তানা!

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৯:৪১, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

ফতুল্লার কুতুব আইলে আকতার-সুমনের বাড়ি আওয়ামী ক্যাডারদের আস্তানা!

নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লার কুতুব আইলে আওয়ামীলীগ নেতা আকতার-সুমনের বাড়ী আওয়ামী ক্যাডারদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিনত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  

সূত্রমতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারাদেশে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। একই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর  আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয় দেশের  বিভিন্ন থানায়।

এতে করে আত্নগোপনে চলে যায় আওয়ামীলীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা। ফতুল্লাতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ফতুল্লা সহ আশপাশ থানা এলাকা এমন কি রাজধানী ঢাকার বেশ কিছু হত্যা মামলার আসামীরা ফতুল্লার কুতুবআইলস্থ আওয়ামীলীগ নেতা আকতার-সুমনের নিজ এবং বাংলো বাড়ীতে অবস্থান করছে। এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয়দের একাধিক সূত্রমতে, আকতার-সুমনদের বাড়ীর ভিতর থেকে প্রতিদিনই অপরিচিত লোকজনের আসা-যাওয়া দেখা যায়। কেউ বাসার ভিতরে প্রবেশ করছে কেউ বা আবার বের হয়ে বিভিন্ন দোকানে বসে চা-নাস্তা খেয়ে আবার বাসার ভিতরে চলে যাচ্ছে। রাতের অন্ধকারে প্রায় সময় কালো গ্লাসের হাইস মাইক্রোবাস, নোয়া গাড়ী বাংলো বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে।

আবার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দ্রুত বের হয়ে যায়। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাত নয়টার দিকেও একটি সাদা রংয়ের কালো গ্লাসযুক্ত হাইস মাইক্রোবাস বাংলো বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে। ৫-৭ মিনিট পর আবার গাড়ীটি বের হয়ে যায়।

এছাড়া বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে রতন নামের এক হত্যা মামলার আসামী আকতার-সুমনের বাড়ী থেকে বের হয়ে একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়ার মূহুর্তে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।

সেখানে গিয়ে রতনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসতে চাইলে আকতার-সুমন সহ তাদের বাড়ীতে এবং কারখানায় আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী  সন্ত্রাসীরা পুলিশ সদস্যদের বাধা প্রদান করে। অনেকটা অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ সদস্যদের। 

পরে সংবাদ পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তবে হত্যা মামলার আসামী রতনকে আনতে পারেনি পুলিশ।

এ বিষয়ে ওসি গণমাধ্যমকে জানান, সার্বিক পরিস্তিতির কথা বিবেচনা করে আসামিকে ফ্যাক্টরীর ভেতর থেকে আনা সম্ভব হয়নি। তবে এই আসামিকে আইনের আওতায় আনা হবে।