নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মহজমপুর এলাকায় বিএনপি ও আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে দখল, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে।
সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি লতিফ মেম্বার ও তার অন্যতম সহযোগী আ'লীগ নেতা মতিউর রহমান মিলে ওই এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই এলাকায় তান্ডব শুরু করেছে ওই দুই নেতা। আ'লীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক ভোল পাল্টে বিএনপি নেতা লতিফ মেম্বারের সাথে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরেছে মতিউর।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একাধিক কর্মী জানায়, মহজমপুর বাজারে ব্যবসায়ীদের জন্য খাজনা মৌকুফ থাকলেও ৫ ই আগস্টের পর থেকে মহজমপুর কাঁচা বাজারের প্রতিটি দোকান থেকে প্রতিদিন চাঁদা তোলা হচ্ছে। কেউ চাাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে লতিফ মেম্বারের সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। এবং দোকান উচ্ছেদের হুমকিও দেয়া হচ্ছে।
এমনকি ওই এলাকার কেউ যদি জায়গা ক্রয় কিংবা বিক্রয় করে তাদেরকে চাঁদা দিতে হচ্ছে। এটি নিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি হয়েছে। এ কর্মকান্ডে এলাকাবাসী তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এছাড়া মহজমপুর বাজারে একটি সরকারি জায়গায় বিএনপি কার্যালয় করার নামে জায়গা নিয়ে সেখানে দোকান তৈরি করে গত ১৭ বছর যাবত ভাড়া দিয়ে রেখেছে বিএনপি নেতা লতিফ মেম্বার।
বিএনপির এ নেতার নামে এর আগেও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জনগনের জন্য বরাদ্দ আসা টিন, চাল ও অর্থ লুটপাটে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ জানান, একটি কুচক্রীমহল উদ্দেশ্য প্রণীতভাবে আমার বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আমি কোনো অবৈধ কাজে লিপ্ত নই।