বন্দরে বিচার শালিসি বৈঠকে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় মহিলাসহ একই পরিবারের ৩ জন রক্তাক্ত জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই সময় হামলাকারীরা গৃহবধূ হামিদা বেগমের কাছ থেকে ১ ভরি ওজনের র্স্বণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা এলাকার মৃত নুরুল হক মিয়ার ছেলে আব্দুর রহিম (৪০) মো. রাশেদ (৬৫) হামিদা বেগম (৫৩)।
স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় আহত আব্দুল রহিম বাদী হয়ে সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে হামলাকারি নূর মোহাম্মদ, রাসেল, আবুল, রিমন ও ইয়াকুবের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে গত রোববার (১৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
আহত ও অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা এলাকার মৃত নুরুল হক মিয়ার মেয়ে ও অভিযোগের বাদী বড় বোন হামিদা বেগমের সাথে একই এলাকার মৃত লোকমান মিয়ার ভূমিদৎসু ছেলে নূর মোহাম্মদ একই এলাকার গিয়াস উদ্দিন মিয়ার ছেলে রাসেল ও মান্নান মিয়ার ছেলে আবুল একই এলাকার আবুল মিয়ার ছেলে রিমন ও জামাল মিয়ার ছেলে ইয়াকুবগং এর দীর্ঘ দিন ধরে বাড়ি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল।
উক্ত বিরোধের জের ধরে গত রোববার রাতে এ নিয়ে ভূমিদৎসু নূর মোহাম্মদের বাড়িতে বিচার শালিস বৈঠক বসে। বিচার শালিসের কথা শুনে হামিদা বেগমের বড় ভাই রাশেদ মিয়া ও ছোট ভাই আব্দুল রহিম ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় উল্লেখিতরা তাদের দেখামাত্র অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে।
ওই সময় আব্দুল রহিম মিয়া উল্লেখিত বিবাদীদের গালাগালি করতে নিষেধ করলে এ ঘটনায় সন্ত্রাসী রাসেল, আবুল, রিমন ও ইয়াকুবসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আব্দুল রহিম ও তার বড় ভাই রাশেদ মিয়ার উপর অর্তকিত হামলা চালায়।
ওই সময় হামলাকারি নূর মোহাম্মদ ও রাসেল আব্দুল রহিমকে হত্যার উদ্দেশ্য চাপাতি দিয়ে মাথায় কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। এ ছাড়াও ৩নং বিবাদী আবুল ও ৫নং বিবাদী ইয়াকুব রাশেদ মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্য বেদম ভাবে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে। ৪নং বিবাদী রিমন হামিদা বেগমের গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের র্স্বণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।