সংঘর্ষের ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদারসহ পুলিশ ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি পূজা মন্ডপের সামনে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রতিপক্ষরা শান্ত (১৬) নামে এক কিশোরের পিঠে ও পায়ের উরুতে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে।
স্থানীয়রা শান্তকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য শান্তকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার্ড করেন।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত দশটায় সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পিলকুনি এলাকায় হিন্দুপাড়া রাম মন্দিরে শারদীয় দূর্গা পূজা মন্ডপের সামনে খালি জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
পরে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ধটনায় এলাকায় ব্যাপক আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কি কারণে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তাৎক্ষনিক তা জানা যায়নি। আহত শান্ত পিলকুনি এলাকার মো. জনির ছেলে।
এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাউলাউ মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) জহিরুল ইসলাম সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
পিলকুনি হিন্দুপাড়া রাম মন্দিরের সভাপতি বীরেন্দ্র চন্দ্র দাস ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত দশটায় পূজা মন্ডপের সামনে ও পেছনে খালি জায়গায় বহিরাগত বেশ কিছু কিশোর বয়সের ছেলে নাচানাচি ও হৈ হুল্লোড় করছিলো।
এ সময় তাদের মধ্যে কোন এক বিষয় নিয়ে তুমুল বাকবিতন্ডতা হয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এসময় এক গ্রপের সদস্যরা প্রতিপক্ষ গ্রুপের শান্ত নামে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ ধটনায় এলাকায় ব্যাপক আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িতদের চিন্থিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।