নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার পাঁচটি এলাকাকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভূক্ত করতে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের আবেদন করেছেন সাবেক এমপি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।
সম্প্রতি স্থানীয় সরকারের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফের নিকট চিঠি প্রেরণ করেন গিয়াসউদ্দিন। এতে তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে ফতুল্লা থানার কুতুবপুর, ফতুল্লা, এনায়েত নগর, কাশিপুর, বক্তাবলি ইউনিয়নকে অন্তর্ভূক্ত করার তিনি আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, রাজধানী ঢাকা সংলগ্ন ফতুল্লা থানা এলাকা, যা নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার অন্তর্গত একটি শিল্প ও বাণিজ্য অধ্যুষিত অঞ্চল। পূর্বে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, পশ্চিম বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদী, উত্তরে রাজধানী ঢাকা এবং দক্ষিণে মুন্সিগঞ্জ। এখানে ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত সাড়ে ৮শ শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানে অন্তত দশ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান। এখান থেকে প্রায় প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকার পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়। বাংলাদেশ সরকার এখান থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পেয়ে থাকে। যা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
৬৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ফতুল্লা থানা দেশের অন্যতম জনবহুল শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকা। এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ২০ লাখেরও অধিক। এখানে রয়েছে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এলজিইডি, গণপূর্ত, বিআরটিএ, জেলা পুলিশ লাইন, আদালত, জেলখানা, সাবরেজিষ্ট্রি, শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি ও আধা সরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দপ্তর। তথাপি এখানকার রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ মানুষের জীবন মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অদ্যাবধি গড়ে উঠে নাই।
সময়ের চাহিদা অনুযায়ি শিল্প ও বাণিজ্য অধ্যুষিত ফতুল্লা থানা এলাকা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্তকরণ অত্যন্ত জরুরী। বিগত সময়ে এই অঞ্চলটিকে বেশ কয়েকবার সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও স্বৈরশাসকের অন্যতম দোসর বিনা ভোটের এমপি এ কে এম শামীম ওসমান অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে তা বাধাগ্রস্ত করায় সেটি আর হয়ে উঠেনি। ফলশ্রুতিতে এখানকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের চাহিদা থাকলেও ফতুল্লাকে সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি।