সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চর কিশোরগঞ্জের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা শাহাদাত বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকেই সোনারগাঁয়ে বিএনপির সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিমের নাম ভাঙিয়ে শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে এলাকায় প্রভাব বিস্তার ও চাঁদাবাজির ব্যাপক মহাৎসব গড়ে তুলেছে।
শাহাদাত বাহিনী এলাকার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে চরকিশোরগঞ্জ গজারিয়া ফেরিঘাটে নোঙর করা ড্রেজার ও বলগেট থেকে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করে আসছে। আর এই চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের উপরে চলে নির্মূল অত্যাচার ও নির্যাতন। এলাকার নিরীহ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা তার ভয়ে আতঙ্কিত।
ঠিক একইভাবে গত ৫ই অক্টোবর চরকিশোরগঞ্জ গজারিয়া ফেরিঘাটে শাহাদাত বাহিনীর চাঁদাবাজিতে বাঁধা দেয়ায় আশাবুদ্দিন মন্টু নামের এক ব্যক্তিকে তারা বেদম মারধর করেছে জানাগেছে।
পরেরদিন আশাবুদ্দিন মন্টু সোনারগাঁ থানায় শাহাদাত বাহিনীর ৫ সদস্যের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৯/১০ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে আশাবুদ্দিন মন্টু বলেন, গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যা সাতটার দিকে চরকিশোরগঞ্জ গজারিয়া ফেরিঘাটে মো. শহিদ (২৫), বাবু (২২), রিমন (২৫), আসাদুল্লাহ (২৫), ও মহিন (২২), সহ অজ্ঞাতনামা ৯/১০ জন সন্ত্রাসীরা চাঁদাবাজি করার সময় আমি তাদেরকে চাঁদাবাজি করতে বাঁধা প্রদান করি।
এতে সন্ত্রাসীরি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করেন এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাহাদের প্রত্যেকের হাতে থাকা ধারালো রামদা, ছেনা, চাকু, চাপাতি, এসএস পাইপ, পাঠলেঠা ও. দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়া আমাকে ভয়-ভীতি দেখাইয়া এলোপাথারী কিল, ঘুষি মারিয়া আমার নীল ফুলা করে।
তঃপর আমি মাটিতে লুটাইয়া পড়িলে দেশীয় লাঠি-সোঠা দিয়ে আমার হাতে অন পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আমাকে মারধর করিয়া নীলা ফুলা করে। পরবর্তীতে আমার ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে উপরোক্ত বিবাদীগন আমাকে পরবর্তীতে দেখে নিবে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এবিষয়ে সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক ওলিউর রহমান বলেন, চাঁদাবাজিতে বাঁধা দেয়ায় আশাবুদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করেছে বলে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।