দুই সন্তানের জননী মাহমুদা সুলতানা ইলু। স্বামী খালেকুজ্জামান খান এর সাথে সম্পর্কের অবনতি হলে ইলু সিদ্ধিরগঞ্জর কদমতলী কলেজপাড়া এলাকায় তার বাবার বাসায় সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছেন।
এ সময় তার দূরসর্ম্পকের আত্মীয় মাহবুর আলম পারভেজ আত্মীয়তার সুবাধে প্রায়ই তাদের বাসায় আসা-যাওয়া করতেন। আর এ সুযোগে স্বামীর অনুপস্থিতে ইলুর সাথে পারভেজের ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে। পারভেজ ইলুকে বিবাহের প্রস্তাব দেন, তবে ইলু তা প্রত্যাখান করেন।
এরপর গত ৬ অক্টোবর ভোরে মাহবুর আলম পারভেজ ইলুর শিশু কন্যাকে ফোন করে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। শিশুটি দরজা খুলে দিলে তাকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বাইরে নিয়ে যান। এরপর শিশুটিকে অপহরণ করে। এরপর পারভেজ তার সহযোগী শাকিল আহমেদ রুবেলকে দিয়ে শিশুটিকে কুমিল্লায় পাঠিয়ে দেন।
এ ঘটনায় ভিকটিম শিশুর বাবা খালেকুজ্জামান খান বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি র্যাব-১১ কে জানালে র্যাব তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এবং অপহরণকারী মাহবুর আলম পারভেজ ও তার সহযোগী শাকিল আহমেদ রুবেলকে গ্রেপ্তার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে।
গ্রেপ্তারকৃত মাহবুর আলম পারভেজ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জর কদমতলী কলেজপাড়া এলাকার মৃত কামাল হোসেনের ছেলে। অপর আসামি শাকিল আহমেদ রুবেল (৪৩) কুমিল্লার মুরাদপুর এলাকার সাঈদ আহমেদের ছেলে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে র্যাব-১১-এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, অপহরণের ঘটনায় মামলা সূত্রধরে সোমবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন হিরাঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণের মূলহোতা মাহবুর আলম পারভেজকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এরপর সে অপহরণের কথা স্বীকার করলে র্যাব কুমিল্লার কোতয়ালি মডেল থানার কান্দিরপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার সহযোগী শাকিল আহমেদ রুবেলকে গ্রেপ্তার করে এবং সেখান থেকে অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।