সিদ্ধিরগঞ্জে প্রকাশ্যে মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় ৩ যুবককে এলোপাথারী মারধর করে কুপিয়ে জখম করেছে একদল সন্ত্রাসী। আহতরা হলেন- হাসান (১৯), লালন (১৮) ও শরীফ (১৯)। এদের মধ্যে হাসানের অবস্থা গুরুতর। সে মিরপুর ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অপর দু’জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হাসানের চাচা মো. মামুন (৩৬) ৭ সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরআগে শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে থানার নিমাইকাশারী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা হলো- মো. রাশেদ মিয়া চিস্তি (৩৬), মো. রাজ চিস্তি (২৪), মো. ফয়সাল চিস্তি (৩৮), মো. হাফেজ (২০), মো. নেয়ামত (২১), মো. সায়েম (২২) ও নয়ন (১৯)।
সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা জানান, অভিযুক্তরা প্রায় সময়ই নিমাইবাড়ী খালপাড় এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক সেবন করে আসছে। এ নিয়ে তারা বাধা দিলে তাদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এর জের ধরে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে হাসান ও তার বন্ধুরা খালপাড় এলাকায় হাটাহাটি করে বাসায় ফেরার পথে শামীম স্যারের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছাইলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র (ধারালো দা, ছোরা, লোহার রড, কাঠের লাঠি ও এসএস পাইপ) নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায় ওই সন্ত্রাসীরা
এ সময় তারা হাসান, লালন ও শরীফকে এলোপাথারি মারধর করে হাত, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে জখম করে। এছাড়া হামলায় হাসানের বাম পার্শ্বের চোয়ালের হাড় ভেঙ্গে যায়।
একপর্যায়ে তাদের ডাক চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীর প্রাননাশের হুমকি দিকে চলে যায়। পরে গুরুতর আহত হাসানের চাচা মামুনসহ স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হানপাতালে নিয়ে যান।
হাসানের চাচা মামুন জানান, রাশেদ ফয়সাল ও তার ভাই রাজ ৫ আগস্টের পরে চনপাড়া বস্তি ডেমরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন এনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কারখানায় চাঁদা দাবি করে। ফয়সাল এলাকায় মাদক বিক্রি করে।
তিনি আরও জানান, ফয়সাল ও রাশেদকে কেউ কিছু বললে তারা সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন ও তার ছেলে কাউন্সিলরের নাম বিক্রি করে বিভিন্ন হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলে, আমরা এই এলাকায় গিয়াস উদ্দিন ও সাদরিলকে ছাড়া কাউকে গোনায় ধরি না।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোহাগ বলেন, বিষয়টি তদন্তনাধীন। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।